Mudar Patherya: কলকাতার ১৩টি সমস্যা তুলে ধরলেন মুদার পাথেরিয়া, চাইলেন সমাধান

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৫:৪০: কলকাতা যেমন প্রাণবন্ত, তেমনি অগোছালো। এই শহরের নানা দৈনন্দিন বাস্তবতা অনেক সময় মানুষকে হতবাক করে দেয়। সম্প্রতি কলকাতার বিশিষ্ট হেরিটেজ রক্ষাকর্তা মুদার পথেরিয়া সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন এমন তেরোটি বিষয়, যা তাঁকে বিভ্রান্ত করে দিয়েছে। আর সত্যি বলতে কী, এগুলো প্রতিদিনের কলকাতার নাগরিক জীবন থেকে উঠে আসা সমস্যা, যেগুলো আমজনতারও চেনা।
তিনি লিখেছেন, কিভাবে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষেরা দূরে থাকা পরিবারের গর্ভবতী মেয়ের খবরও পেয়ে যায়। কিভাবে একটা ফ্ল্যাটবাড়ির কয়েকজন বাসিন্দা আবর্জনা জানালা দিয়ে ফেলে দেয় অথচ পুরো বাড়িটা ঝকঝকে থাকে। কেন পরিষেবাদাতা লোকেরা আগে থেকে জানান না যে আজ ছুটি নেবেন। কেন সারাক্ষণ হর্ন বাজিয়ে শহরের রাস্তাকে অশান্ত করে তোলা হয়।
তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, এত বার বোঝানো সত্ত্বেও কেন গৃহকর্মীরা প্রতিদিন প্লাস্টিকের ব্যাগেই বাজার নিয়ে আসেন, কেন তাঁরা নিজের ছুটির খবর সরাসরি মালিককে না জানিয়ে অন্য কারও মাধ্যমে পৌঁছে দেন। আবার অফিসকর্মীদের কথাও উঠেছে – সময়মতো না এসে “আমি তো মাত্র এক মিনিট দেরি করেছি” বলে দায় এড়িয়ে যাওয়া।
শহরের রাস্তায় ধূমপায়ীদের সিগারেট নেভানোর অনুরোধ করার অধিকার কেন সাধারণ পথচারীর থাকে না, কেন গাড়ির ভেতর থেকে আবর্জনা ফেলে দেওয়া লোকদের আটকানো যায় না – এসব নিয়েও পাথেরিয়ার আক্ষেপ। তিনি লিখেছেন, ‘পিঙ্কি ম্যাসাজ’ টাইপের ফ্লুরোসেন্ট হ্যান্ডবিল থেকে শুরু করে পাড়ার মোড়ে সকাল-সকাল জ্বলে ওঠা উনুন – সবকিছুই কলকাতার নাগরিক জীবনের এক অদ্ভুত চিত্র।
এমনকি তাঁর প্রশ্ন, পুরনো ছাদের মরচেধরা লোহার ফ্রেম কে সরাবে? তাঁর স্বপ্ন – কবে দেখা মিলবে কেবল-বিহীন আকাশের, যেখানে হাজার তারের জঞ্জাল ঝুলবে না মাথার ওপর।
মুদার পাথেরিয়া লিখেছেন, এই সব প্রশ্নের উত্তর তাঁর কাছে নেই। তবে তিনি জানাতে চেয়েছেন, নাগরিকরা মিলে যদি এসব সমস্যার সমাধান নিয়ে ভাবেন, তাহলেই কলকাতার রূপ বদলাতে পারে।
কলকাতা যেমন ইতিহাসের, তেমনি বিশৃঙ্খলারও শহর। পাথেরিয়ার এই লেখা শহরবাসীর কাছে নিছক মজার পাঠ নয়, বরং এক অস্বস্তিকর বাস্তবতার আয়না – যেখানে নিজেদেরই অসংখ্য অভ্যাস ফুটে ওঠে।