গোপাল পাঁঠা’ সম্পর্কে তথ্য বিকৃতির অভিযোগ, Vivek Agnihotri-র বিরুদ্ধে FIR মুখোপাধ্যায় পরিবারের
আরও এক হিন্দি ছবিতে তথ্য বিকৃতির অভিযোগ উঠল।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১১:৩১: আরও এক হিন্দি ছবিতে তথ্য বিকৃতির অভিযোগ উঠল। ছবির ট্রেলারে বিখ্যাত বাঙালি চরিত্র গোপাল মুখোপাধ্যায় ওরফে ‘গোপাল পাঁঠা’র পরিচয় সম্পর্কে তথ্য বিকৃতির অভিযোগে এফআইআর (FIR) দায়ের হয়েছে ছবির পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর (Vivek Agnihotri) বিরুদ্ধে। বউবাজার থানায় অভিযোগ করেছেন গোপাল মুখোপাধ্যায়ের নাতি শান্তনু মুখোপাধ্যায়।
গোপাল মুখোপাধ্যায়ের নাতির অভিযোগ, তাঁর দাদুর চরিত্র সিনেমায় রাখা হবে বলে পরিবারের কোনও অনুমতিই নেওয়া হয়নি। উল্টে ট্রেলারে বা সিনেমার গল্পে তাঁকে ‘এক থা কষাই গোপাল পাঁঠা’ বলে পরিচয় করানো হচ্ছে। পরিচালককে ক্ষমা চাইতে বলে আইনি নোটিশও পাঠিয়েছেন শান্তনু। শান্তনু জানান, অনুশীলন সমিতির কাজে যুক্ত থাকার পাশাপাশি তাঁর দাদু দুটো পাঁঠার মাংসের দোকান চালাতেন। কুস্তিগির ছিলেন, বুকের পাটা ছিল ঈর্ষণীয়। হিন্দিভাষীদের মুখে মুখে সেই বুকের পাটা হয় ‘পাট্টা’। পেশা আর নেশা মিলিয়ে নাম হয়ে যায় গোপাল পাঁঠা। কিন্তু তিনি কষাই চরিত্র ছিলেন না, ভিলেনও ছিলেন না। ছিলেন সিংহহৃদয়। ১৯৪৬-এ মুসলিম লিগের দাঙ্গা প্রতিরোধে হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে আতঙ্কিত মানুষের স্বার্থে যিনি অস্ত্র তুলে নিয়েছিলেন। বাঁচিয়েছিলেন এই বাংলা ও বাঙালিকে। তাঁর চরিত্রকে বিকৃত করে দেখিয়েছেন বিবেক।
শান্তনু বলছেন, ছেচল্লিশের দাঙ্গার আগে কলকাতার নানা জায়গায় লিগ ভলান্টিয়াররা জড়ো হচ্ছিলেন। ১৬ আগস্ট শহিদ মিনারে তৎকালীন কমিউনিস্ট পার্টি ও মুসলিম লিগের নেতৃত্বে জনসভা হয়। সুরাবর্দি খাঁ সাহেবের সঙ্গে শোনা যায় সেখানে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুও ছিলেন। দাবি ওঠে আগে লিগকে তাদের পাকিস্তান বুঝিয়ে দিতে হবে, তার পর ভারতবর্ষ স্বাধীন হবে। কিন্তু লিগ ভলান্টিয়ারদের সশস্ত্র অবস্থায় দেখে জ্যোতিবাবু সভা ছেড়ে চলে যান। সভা শেষে ধর্মতলা চত্বরের সব অস্ত্রের দোকান লুঠপাট হয়। চলে খুন-রাহাজানি। দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে নারকেলডাঙা, কলুটোলায়। দাঙ্গা প্রতিরোধ করতে নিজের অনুগামীদের সংঘবদ্ধ করে হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন গোপাল মুখোপাধ্যায়।