সন্ত্রাসের আবহেই ত্রিপুরায় আজ পুরভোট

এবারের ভোটে বিজেপিকে অন্যতম চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেওয়া তৃণমূলের রাজ্য আহ্বায়ক সুবল ভৌমিকের কথাতেই তা স্পষ্ট।

November 25, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi
ছবি: প্রতীকী

সন্ত্রাসের আবহেই আজ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ত্রিপুরার পুরনির্বাচন। রাজ্যের ৬টি নগর পঞ্চায়েত, ৭টি পুরপরিষদ এবং আগরতলা পুরনিগমের মোট ২২২টি আসনের জন্য ৬৪৪টি বুথে হচ্ছে ভোটগ্রহণ। নির্বাচনের আগেই অবশ্য ১১২টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে শাসক বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের বল্গাহীন সন্ত্রাসের কারণে সিপিএম, তৃণমূল, কংগ্রেস সহ কোনও বিরোধী দল এই আসনগুলিতে প্রার্থী দিতে পারেনি বলে অভিযোগ। নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই বিরোধীরা শাসক দলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। বারবার নালিশ জানিয়েছে বিপ্লব দেবের প্রশাসন ও পুলিসের বিরুদ্ধেও। 


নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনও সদর্থক ভূমিকা পালন করছে না—এই অভিযোগে বিরোধীরা দফায় দফায় হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। শেষ পর্যন্তু সুপ্রিম কোর্ট ত্রিপুরা সরকারের কার্যকলাপে ক্ষুব্ধ হয়ে বেশ কিছু নির্দেশও দিয়েছে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে অর্ধেক বুথ স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করার পাশাপাশি এবার প্রথম পুরভোটে রাজ্যে আধা সামরিক বাহিনীও নামাতে বাধ্য হচ্ছে বিপ্লব  দেবের সরকার। স্পর্শকাতর বুথে ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলসের পাশাপাশি সিআরপিএফের মতো আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েনের কথা বলা হলেও সন্ত্রাস বা ভয়ের পরিবেশের কোনও বদল হয়নি।

এবারের ভোটে বিজেপিকে অন্যতম চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেওয়া তৃণমূলের রাজ্য আহ্বায়ক সুবল ভৌমিকের কথাতেই তা স্পষ্ট। তিনি বুধবার রাতে বলেন, আগরতলার একাধিক ওয়ার্ডে দলের প্রার্থী, এজেন্টদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে শাসক দলের গুন্ডারা। হামলা নিয়ে পুলিসের বড় কর্তাদের কাছেও অভিযোগ জানানো হয়েছে। পুলিসের মৌখিক আশ্বাসে আমরা আস্থা রাখতে পারছি না। রাজ্যের অপর বিরোধী দল সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক জিতেন চৌধুরীও এদিন বলেন, আগরতলা সহ বেশ কিছু শহরে একাধিক ক্লাব ও বাড়িতে শাসক দলের গুন্ডাদের জড়ো করা হয়েছে। এলাকায় ঢুকে বাড়ি বাড়ি হুমকি দেওয়ার কাজও চালাচ্ছে গেরুয়া বাহিনী। যদিও বিজেপির মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য ওই সব অভিযোগ খণ্ডন করে বলেন, কলকাতা থেকে যাওয়া তৃণমূলের গুন্ডারা আগরতলা ছেড়েছে কি না তা আমাদের জানা নেই। আর সিপিএমকে মানুষ আগেই প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই ওদের অভিযোগের কোনও গুরুত্ব নেই। 


এদিকে, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের ‘অফিসার অন স্পেসাল ডিউটি’ (ওএসডি) সঞ্জয় মিশ্রকে ফৌজদারি আইনের ৪১এ ধারায় নোটিস পাঠাল কলকাতা পুলিস। ওই নোটিসে চলতি মাসের ৩ নভেম্বর নারকেলডাঙা থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছে সঞ্জয় মিশ্রকে। পুলিস  সূত্রের খবর, সোশ্যাল মিডিয়ায় কলকাতার কোভিড পজিটিভি রেট সহ এরাজ্যে শাসক দলের সন্ত্রাস নিয়ে ভুয়ো খবর ছাড়ানোর অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen