রাজভবন আর নবান্নের পত্র যুদ্ধের আঁচ এসে পড়ল রাজভবনের হেঁসেলে

করোনার টাকা বরাদ্দেই যেখানে সমস্যা হচ্ছে, সেখানে রাজভবনে অতিরিক্ত বরাদ্দ কী ভাবে সম্ভব?

September 28, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi
জগদীপ ধনখড়

রাজভবন আর নবান্নে পত্র যুদ্ধ চলছেই। সেই আঁচ এসে পড়ল রাজভবনের হেঁসেলে!

‘হাউসহোল্ড’ খাতে বরাদ্দ অর্থ কার্যত শেষ হয়ে গিয়েছে। সংসার চালাতে নবান্নের কাছে তিনটি খাতে অতিরিক্ত ৫৩.৫ লক্ষ টাকা চেয়ে পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপালের সচিব সতীশ তেওয়ারি। গত ২৫ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় রাজভবনে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, করোনার কারণে ব্যয় সঙ্কোচের পথে হাঁটছে সরকার। তাই কোনও দফতরকেই অতিরিক্ত বরাদ্দ করা সম্ভব হচ্ছে না।
স্বরাষ্ট্র সচিবের চিঠি পেয়ে মাথায় হাত রাজভবনের কর্তাদের। কারণ, রাজভবনের অন্দরমহল পরিচালনার জন্য নামমাত্র  টাকা পড়ে রয়েছে বলে রাজ্যপালের সচিব জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্র সচিবকে। তারপরেও বাড়তি বরাদ্দে রাজি হয়নি নবান্ন। এমন পরিস্থিতিতে কী ভাবে রাজ্যপালের সংসার চলবে তা ভেবে পাচ্ছেন না কর্তারা। অর্থ দফতর সূত্রের খবর, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে রাজভবনের জন্য সাড়ে ১৬ কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে। করোনা চলে আসায় অর্থ দফতর বেতন-পেনশন ছাড়া সব খাতের খরচ ৫০% ছাঁটাই করেছে।  বাদ যায়নি রাজভবনও।

গত ২২ সেপ্টেম্বর রাজ্যপালের সচিব সতীশ তেওয়ারি স্বরাষ্ট্র সচিবকে চিঠি লিখে জানান, চার বার বলার পরও নবান্ন রাজভবনের কর্মী অফিসার পাঠানো এবং অর্থ বরাদ্দের ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ করেনি।  রাজভবনের চিঠির প্রাপ্তিস্বীকারও করেনি। স্বরাষ্ট্র সচিবও চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, ব্যয় সঙ্কোচের জন্য রাজভবনের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা সম্ভব নয়।
রাজ্যের কাছে গেরস্থালি পরিচালনা, বিনোদন খাত এবং অন্যান্য চুক্তিমূলক খাতের জন্য মোট ৮৭ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা চেয়ে পাঠিয়েছিল রাজভবন। তার মধ্যে ব্যয় সঙ্কোচের ফলে বাজেট কাটছাঁট হওয়ার পরেও ৩৪ লক্ষ টাকা রাজভবনের পাওনা রয়েছে বলে নবান্নে পাঠানো চিঠিতে দাবি করা হয়েছে।

অফিসার পাঠানো এবং বরাদ্দে না করার প্রশ্নে জানতে চাওয়া হলে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় বলেন, ‘‘গত কয়েকমাস ধরে রাজ্য সরকার রাজভবনকে বিভিন্ন উপায়ে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। রাজভবনে এখন একজন আইএএস এবং একজন ডব্লিউবিসিএস অফিসার কাজ করেন। ৫০% কর্মী নেই। তহবিলের প্রশ্নেও যুক্তিযুক্ত সমাধানের জন্য যথাস্থানে আলোচনা করব। রাজভবনের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হতে দেব না।’’ নবান্নের এক শীর্ষ কর্তা বলেন,‘‘রাজ্যের ৫০টি দফতরের মতো রাজভবনেও ব্যয় সঙ্কোচ নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে। করোনার টাকা বরাদ্দেই যেখানে সমস্যা হচ্ছে, সেখানে রাজভবনে অতিরিক্ত বরাদ্দ কী ভাবে সম্ভব?’’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen