Nabanna vs EC: তদন্তের আগে সাসপেন্ড নয়, ২ আধিকারিককে নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে সরাল নবান্ন
সোমবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়ালকে চিঠি দিয়ে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৯:১৯: আরও তীব্র হল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে নবান্নের (Nabanna) সংঘাত। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিত চার সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়নি রাজ্য। তাঁদের ভোটের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এফআইআর বা সাসপেনশনের পথে হাঁটেনি রাজ্য প্রশাসন।
সোমবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়ালকে চিঠি দিয়ে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। ৫ আগস্ট কমিশন রাজ্যকে একটি চিঠি পাঠায়। ৮ আগস্ট ফের দ্বিতীয় চিঠি আসে। সেই চিঠিতে কমিশন (Election Commission) ৭২ ঘণ্টার সময়সীমা দেয়। রাজ্য সরকার সময়মতো জবাবও দেয়। ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে নবান্ন।
বারুইপুর পূর্ব (১৩৭) এবং ময়না বিধানসভা কেন্দ্রের কয়েকজন নির্বাচনী আধিকারিকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ ওঠার পর নির্বাচন কমিশন তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দেয়। কমিশন জানায়, এই আধিকারিকরা নিজেদের ঘনিষ্ঠ ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদের মাধ্যমে গোপনে ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত করতেন, যা নির্বাচনী প্রক্রিয়ার নিয়ম লঙ্ঘন করে।
কমিশনের নির্দেশিত অভিযুক্তরা হলেন বারুইপুর পূর্ব কেন্দ্রের ইআরও দেবত্তম দত্ত চৌধুরী এবং সহকারী এইআরও তথাগত মণ্ডল, ময়নার ইআরও বিপ্লব সরকার, এইআরও সুদীপ্ত দাস, এবং ডেটা এন্ট্রি অপারেটর সুরজিৎ হালদার। এই অভিযোগে দিল্লির নির্বাচন কমিশন তাঁদেরকে সরকারি কাজ থেকে সাসপেন্ড করার পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিত্ব আইন, ১৯৫০ অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের রাজ্য সুপারিশ করে।
এই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার মুখ্যসচিবের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে ওই চার আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হবে না। তাঁদেরকে নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। মুখ্যসচিবের ব্যাখ্যা, এই আধিকারিকরা নিষ্ঠার সঙ্গে তাঁদের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে অন্যান্য আধিকারিকদের মনোবল ভেঙে যাবে।
নবান্ন সূত্রে খবর, ওই চার আধিকারিকের বিরুদ্ধে একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত শেষ হলে বিস্তারিত রিপোর্ট নির্বাচন কমিশনকে পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে।