বকেয়া DA দেওয়ার জন্য প্রযুক্তির সহায়তা নিচ্ছে নবান্ন
সম্প্রতি সব দপ্তর, স্কুল-কলেজ এবং স্বশাসিত সরকারি সংস্থাগুলির কাছে কর্মচারীদের সংখ্যা জানতে চেয়েছিল অর্থ দপ্তর।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৮:৫৭: রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ বা মহার্ঘ ভাতার ২৫ শতাংশ অবিলম্বে মিটিয়ে দিতে হবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে। সম্প্রতি এক অন্তর্বর্তী নির্দেশে এমনই জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। যে কারণে সম্প্রতি সব দপ্তর, স্কুল-কলেজ এবং স্বশাসিত সরকারি সংস্থাগুলির কাছে কর্মচারীদের সংখ্যা জানতে চেয়েছিল অর্থ দপ্তর। এ বার রাজ্য সে দিকে আরও এক ধাপ এগোল।
ডিএ-র বকেয়া অংশ দেওয়ার জন্য প্রযুক্তিগত দিক থেকে একটি নতুন পদ্ধতি তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন। সেই প্রযুক্তি সমস্ত দফতরে পাঠিয়ে সমস্ত কর্মচারীর ডিএ পাওয়ার সময়সীমা জানতে চাওয়া হবে। ১৬ মে সুপ্রিম কোর্ট তাদের নির্দেশে জানিয়েছিল, ছ’সপ্তাহের মধ্যে ওই বকেয়া দিতে হবে। তার আগে নির্দেশ দেওয়ার চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য সরকারকে বকেয়া মেটানোর পদক্ষেপের গতিপ্রকৃতির কথাও জানাতে হবে দেশের শীর্ষ আদালতকে। নবান্ন সূত্রের খবর, সুপ্রিম কোর্টের সেই জোড়া নির্দেশ কার্যকর করতেই নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে।
সরকারি সূত্রের খবর, একটি বেসরকারি সংস্থাকে ওই প্রযুক্তিগত পদ্ধতি নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। ওই প্রযুক্তিতে সরকারি কর্মচারীদের নিজস্ব পোর্টাল ‘ইন্টিগ্রেটেড ফিনানশিয়াল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’-এ (আইএফএমএস) গিয়ে ২০০৯ সালে ‘রোপা’ কার্যকর হওয়ার পরে কার্যকালের মেয়াদের তথ্য জানাতে হবে। এই প্রযুক্তিতে সব দফতর, সরকার অনুমোদিত এবং সরকার পোষিত স্বশাসিত সংস্থা এবং স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে তথ্য পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হবে। যেখানে সরকারি কর্মচারীরা ২০০৯ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত নিজ নিজ কার্যকালের মেয়াদের তথ্য জানাবেন। একই ভাবে ওই সময়কালে সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেওয়া ব্যক্তিদেরও নিজেদের তথ্য জানাতে বলা হবে। ওই তথ্য জানালে অর্থ দপ্তর সহজেই কোন আধিকারিক বা সরকারি কর্মচারীকে কত পরিমাণ বকেয়া ডিএ দিতে হবে, তা সহজে নির্ধারণ করতে পারবেন।