বুকে জোড়া স্টেন্ট, তবু হার মানল না ‘আগুনপাখি’, ২৩ তারিখেই মঞ্চ কাঁপাতে ফিরছেন নচিকেতা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৭:৪০: “যদি বয়স আমার হাজার বারো, মনের বয়স আমার সবে আঠারো…” নিজের গানের এই লাইনটিকেই যেন ফের বাস্তবে প্রমাণ করলেন জীবনমুখী গানের প্রবাদপ্রতিম শিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী (Nachiketa Chakraborty)। বুকে জোড়া স্টেন্ট, হাসপাতালের বিছানা, ভক্তকুলের উদ্বেগ- সমস্ত কিছুকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে মাত্র কয়েকদিনের বিশ্রাম শেষেই স্বমহিমায় মঞ্চে ফিরছেন ‘আগুনপাখি’। আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকেই ফের মাইক্রোফোন হাতে দেখা যাবে তাঁকে।
গত ১২ ডিসেম্বর হৃদযন্ত্রে গোলমাল নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর বুকে দুটি স্টেন্ট বসেছে শিল্পীর। প্রিয় গায়কের অসুস্থতার খবরে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) হাসপাতালে গিয়ে শিল্পীকে দেখে আসেন এবং শরীরের যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দেন। ভক্ত থেকে শুরু করে অনুষ্ঠানের আয়োজক- সকলের মনেই প্রশ্ন ছিল, একষট্টি বছর বয়সে বুকে স্টেন্ট নিয়ে শিল্পী কি আদৌ আর আগের এনার্জি নিয়ে গাইতে পারবেন? চিকিৎসকরা কি এত তাড়াতাড়ি অনুমতি দেবেন?
পূর্বনির্ধারিত সূচি মেনেই ২৩ ডিসেম্বর পানিহাটি, ২৪ ডিসেম্বর শ্রীরামপুর এবং ২৫ ডিসেম্বর জাঙ্গিপাড়ায় পরপর শো করবেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, বর্ষবরণের ঠিক আগে ৩০ ডিসেম্বর লেকটাউনেও মঞ্চ মাতাবেন নচিকেতা।
সম্প্রতি ইএম বাইপাসের বেসরকারি হাসপাতালে রুটিন চেক-আপে গিয়েছিলেন শিল্পী। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলার পরই তিনি মঞ্চে ফেরার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন। নচিকেতার দীর্ঘদিনের ছায়াসঙ্গী ও ভ্রাতৃপ্রতিম বন্ধু অভিষেক দে জানিয়েছেন, শারীরিকভাবে শিল্পীর এখন আর কোনও সমস্যা নেই। তবে চিকিৎসকরা তাঁকে মঞ্চে অতিরিক্ত ‘লোড’ নিতে বা খুব বেশি উত্তেজনাপূর্ণ কাজ করতে বারণ করেছেন।
চিরকাল নিজের শর্তে চলা নচিকেতা স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে হেসে জানিয়েছেন, “লাফালাফি করতে বারণ করেছেন ডাক্তারবাবুরা! দেখি কতটা মানতে পারি।” অর্থাৎ, শরীর দুর্বল হলেও মনের জোর যে এতটুকুও কমেনি, তা স্পষ্ট। বড়দিনের আবহে নচিকেতার এই প্রত্যাবর্তনের খবরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন তাঁর অগণিত ভক্তকুল।