এবার মন্দির বিভ্রাট নাড্ডার, এটাই কি ‘বাঙালিয়ানা’ বিজেপির?

শনিবার কাটোয়ার জগদানন্দপুর গ্রামে মন্দিরে পুজো দেন জেপি নাড্ডা। পুজো দেওয়ার পর তিনি বলেন, “বন্ধুগণ, আজ আমি রাধা গোবিন্দের একটি পুরানো মন্দিরে গিয়েছিলাম, যেখানে চৈতন্য মহাপ্রভুর দীক্ষা নিয়েছিলেন।”

January 10, 2021 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

শিয়রে বিধানসভা নির্বাচন।বাংলা দখলই লক্ষ্য বিজেপির। তাই তার আগে দফায় দফায় বঙ্গ সফরে গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্ব। শনিবার ফের বঙ্গসফরে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। আর এই সফরে ‘বহিরাগত’ তকমা মুছতে আপ্রাণ চেষ্টা করেও বিফল হলেন বিজেপি সভাপতি।

শনিবার কাটোয়ার জগদানন্দপুর গ্রামে মন্দিরে পুজো দেন জেপি নাড্ডা। পুজো দেওয়ার পর তিনি বলেন, “বন্ধুগণ, আজ আমি রাধা গোবিন্দের একটি পুরানো মন্দিরে গিয়েছিলাম, যেখানে চৈতন্য মহাপ্রভু দীক্ষা নিয়েছিলেন।” আর এই বক্তব্য ঘিরেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

চৈতন্যদেবের দীক্ষা হয়েছিল ১৫১০ সালে, যেখানে জগদানন্দপুর মন্দির স্থাপনই হয়েছিল তার ৩২৯ বছর পর। জগদানন্দপুর মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন যে মহাপ্রভুর দীক্ষার সাথে এই মন্দিরের কোনও যোগসূত্র নেই। “স্থানীয় জমিদার রাধামোহন ঘোষ চৌধুরী ১৮৩৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বৈষ্ণব মন্দিরটি স্থাপন করেন,” জানালেন মন্দির প্রধান নিমাই দাস। তাই চৈতন্য মহাপ্রভুর এখানে দীক্ষা নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।

স্থানীয়দের মতে, নাড্ডা সম্ভবত জগদানন্দপুর মন্দিরকে শ্রী শ্রী গৌরাঙ্গ মন্দিরের সাথে গুলিয়ে ফেলেছেন। বহু শতাব্দী প্রাচীন গৌরাঙ্গ মন্দিরটি প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। তাই, ১৫১০ সালে মহাপ্রভু সেখানে দীক্ষা নিয়ে থাকতে পারেন।

বিজেপিকে কটাক্ষ করে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় এদিন বলেন, রাতারাতি একটি রাজ্যের ইতিহাস, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, ভাষা শেখা সম্ভব না। তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে তারা ভুলের পরে ভুল করছে… বাংলার মনীষীদের অপমান করছে। তারা মানসিকভাবে এবং চেতনায় বহিরাগত।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen