এনআরসি, এনপিআর নিয়ে ক্ষুব্ধ নাগা সাধুরা

কপিলমুনির মন্দিরে পাস বরাবর নাগাদের কুঠুরি। সেখানে ধুপ ধুনোর গল্প। যজ্ঞকুন্ডলীতে জ্বলছে আগুন। এনারা বরাবর রাজনীতি বিমুখ। নাগা সন্ন্যাসীরা এবার উদ্বিগ্ন এনআরসি ও এনপিআর নিয়ে।

January 14, 2020 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi
ছবি সৌজন্যেঃ aajkaal

কপিলমুনির মন্দিরে পাস বরাবর নাগাদের কুঠুরি। সেখানে ধুপ ধুনোর গল্প। যজ্ঞকুন্ডলীতে জ্বলছে আগুন। এনারা বরাবর রাজনীতি বিমুখ। ধর্ম নিয়ে থাকেন সব সময়। তবে নাগা সন্ন্যাসীরা এবার উদ্বিগ্ন এনআরসি ও এনপিআর নিয়ে।

তাঁরা এবার এনআরসি ও এনপিআরের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন। ভারতের সনাতন হিন্দু ধর্মের মধ্যে কোনও বিভেদের জায়গা নেই বলে তাঁরা সাফ জানিয়ে দেন। পরম্পরায় ধর্মের বন্ধনে এই দেশ গড়ে উঠেছে। এই নাগরিকত্বের আইন সেই বন্ধনকে ছিঁড়ে দিতে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদের। অসমের অভিজ্ঞতা থেকে আরও ভীত তাঁরা। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ভেবে দেখার অনুরোধ করেন নাগাদের একাংশ।

বাংলাদেশ থেকে আসা, ছিন্নমূল এক সন্ন্যাসী বলেন, কে কোথায় জন্মেছি, সেটা বড় কথা নয়। এখন আমরা কন দেশে বাস করছি সেটা বড় কথা। সবার পূর্বপুরুষের নথি কই আছে? হলফ করে বলতে পারি, নেই। কিন্তু সরকার তাই চাইছে। মানুষ আতঙ্কিত। ধর্মের ভিত্তিতে ভাগাভাগি চাই না। এদেশে হিন্দু, মুসলমান, শিখ, খৃস্টান সবাই একসঙ্গে বড় হয়েছি। এটাই আমাদের দেশের বক্তব্য। নোটবন্দি করে কই লাভ হল? দেশের অর্থনীতি তলানিতে ঠেকেছে। মোদী ব্যর্থ।

কামাখ্যা থেকে আসা এক সন্ন্যাসী বলেন, অসমে এনআরসির নামে কই হয়েছে তা দেশের মানুষ দেখেছে। খুব দুর্ভাগ্যজনক। এখন বলা হচ্ছে সারা দেশে এনআরসি চালু হবে, যা অমানবিক। ভাবে কাউদেশ থকে তাড়ানো যায় না।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen