১৬৯টি ঝড়ের নামকরণে সিলমোহর ১৩ দেশের

বাকি মাত্র একটা। কিন্তু প্রকৃতি তো আর থেমে থাকে না! ঝড় প্রকৃতির নিয়মেই আসবে। তাই তাদের নামের তালিকা তৈরি করাটাও জরুরি। ২০১৮ সাল থেকে সেই প্রক্রিয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, চূড়ান্ত বাছাই করে সিলমোহর দেওয়া বাকি ছিল। করোনা বিপর্যয়ের মধ্যেই প্রত্যেকটি দেশের প্রতিনিধিরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে নতুন ঝড়ের নামের তালিকায় সিলমোহর দিলেন।

May 1, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

বাকি মাত্র একটা। কিন্তু প্রকৃতি তো আর থেমে থাকে না! ঝড় প্রকৃতির নিয়মেই আসবে। তাই তাদের নামের তালিকা তৈরি করাটাও জরুরি। ২০১৮ সাল থেকে সেই প্রক্রিয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, চূড়ান্ত বাছাই করে সিলমোহর দেওয়া বাকি ছিল। করোনা বিপর্যয়ের মধ্যেই প্রত্যেকটি দেশের প্রতিনিধিরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে নতুন ঝড়ের নামের তালিকায় সিলমোহর দিলেন। 

২০০৪ সালে আটটি দেশ, এক একজন আটটি করে মোট ৬৪টি ঝড়ের নাম দিয়েছিল। গত প্রায় ১৬-১৭ বছরে ৬৩টি নাম ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছে। শুধুমাত্র বাকি থাইল্যান্ডের দেওয়া নাম উম-পুন। তাই বুধবারই নতুন ঝড়ের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এবার আর আটটি দেশ নয়, তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরও পাঁচটি দেশ। অর্থাৎ সবমিলিয়ে ১৩টি দেশ মিলিত হয়ে এবার ঝড়ের নামকরণ করল। 

ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের ডিরেক্টর জেনারেল মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেন, এবার প্রত্যেকটি দেশ ১৩টি করে নাম দিয়েছে। সবমিলিয়ে ১৬৯টি নামকে চূড়ান্ত তালিকায় স্থান দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে এবার আরও বেশি সময় ঝড়ের নামের তালিকা দেশগুলির কাছে থাকল। মৃত্যুঞ্জয়বাবু বলেন, গড়ে প্রতিবছর পাঁচটি ঝড় হয়। অর্থাৎ সেই হিসেব ধরলে আগামী প্রায় ৩৩-৩৪ বছরের জন্য ঝড়ের নাম প্রস্তুত।

১৬৯টি ঝড়ের নামকরণে সিলমোহর ১৩ দেশের

ভারত মহাসাগরের উত্তরাংশে যে প্রবলতম ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়, তা ভারত সহ একাধিক দেশের উপর আছড়ে পড়ে। সেরকম আটটি দেশকে (ভারত ছাড়া বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, মায়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং থাইল্যান্ড) নিয়ে ২০০৪ সালে তৈরি হয় রিজিওনাল স্পেশালাইসড মেটেরোলজিক্যাল সেন্টার (আরএসএমসি)। গোটা পৃথিবীতে এরকম ছ’টি আরএসএমসি রয়েছে। আন্তর্জাতিক আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লুএমও) নিয়ম মেনে এই অঞ্চলের আরএসএমসির প্রধানের দায়িত্ব পায় ভারতীয় মৌসম ভবন। 

সেই মতো বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরে যে প্রবলতর ঘূর্ণিঝড় আসে সেবিষয়ে বাকি দেশগুলিকেও পরামর্শ দিয়ে থাকে ভারতীয় মৌসম ভবন। সেই সঙ্গে সকলে মিলিত হয়ে ঝড়ের নামকরণও শুরু হয় ২০০৪ সাল থেকেই। আগে আটটি দেশকে নিয়ে এই আরএসএমসি গঠিত হলেও, ২০১৮ সালে ওমানের ম্যাসকটে আন্তর্জাতিক আবহাওয়া সংস্থার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, আটটি দেশের সঙ্গে আরও কয়েকটি দেশকে যুক্ত করা হবে। 

সেই মতো ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মায়ানমারের বৈঠকে আটটি দেশের সঙ্গে আরও পাঁচটি দেশ (ইরান, কাতার, সৌদি আরব, ইয়েমেন, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি) নিজেদের পরিকল্পনার কথা পরিবেশন করেছিল। এরপর থেকেই ঝড়ের নয়া নামের তালিকা প্রস্তুত করার কাজ শুরু হয়ে যায়। অবশেষে সেই নামের তালিকা প্রকাশিত হল।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen