নারদ মামলায় রাজ্যপালের অনুমতি বেআইনি? প্রশ্ন হাইকোর্টে
পাশাপা.শ সিবিআইকে সুপ্রিম কোর্ট উল্লেখিত ‘তোতাপাখি’ বলে উল্লেখ করে বলা হয়, এই পাখিকে খাঁচায় আটকে রাখা অনুচিত। কিন্তু, তাকে যদি তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় আর ‘যথা ইচ্ছা তথা’ গিয়ে মন্দ কাজ করতে শুরু করে, তার ফল হবে মারাত্মক।

নারদ মামলায় (Narada Case) রাজ্যপালের দেওয়া অনুমতি প্রসঙ্গে অভিযুক্তরা মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) গুরুতর প্রশ্ন তুলল। বলা হল, নিয়মমাফিক অনুমতি তাদের কার্যত ছিল না। সেক্ষেত্রে গ্রেপ্তারিও আইনসঙ্গত নয়। পাশাপা.শ সিবিআইকে সুপ্রিম কোর্ট উল্লেখিত ‘তোতাপাখি’ বলে উল্লেখ করে বলা হয়, এই পাখিকে খাঁচায় আটকে রাখা অনুচিত। কিন্তু, তাকে যদি তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় আর ‘যথা ইচ্ছা তথা’ গিয়ে মন্দ কাজ করতে শুরু করে, তার ফল হবে মারাত্মক।
অভিযুক্ত চার নেতা ও মন্ত্রীর তরফে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি মঙ্গলবার বলেন, সুপ্রিম কোর্ট সিবিআইকে ২০১৩ সালে তোতাপাখি বলে উল্লেখ করেছিল। সেই তোতাপাখি অভিযুক্তদের সিবিআই (CBI) আদালতে হওয়া শুনানি ‘জনতার উপলব্ধি’ অনুসরণে বাতিল করার দাবি করেছে। এই প্রসঙ্গেই তিনি ওই তোতাপাখির বন্দিত্ব ও মুক্তি নিয়ে কটাক্ষ করেন। সেইসঙ্গে বলেন, রাজ্যপাল মানে রাজ্য সরকার। তাঁর যেকোনও পদক্ষেপ হতে হয় রাজ্য সরকারের অনুসারী। বেঞ্চ জানতে চায়, রাজ্যপালের দেওয়া অনুমোদন কি চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। তা হয়নি জানিয়ে সিংভি বলেন, মন্ত্রিসভা ও বিধানসভার অধ্যক্ষ শপথ নেওয়ার আগে সিবিআই বস্তুত রাজভবনে হাজার মিটারের দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার মতো দৌড় দিয়েছিল। সিবিআই আদালত থেকে মামলা স্থানান্তরের দাবি অযৌক্তিক দাবি করে তিনি বলেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার কোনও চিহ্নই নেই। সিবিআই অফিসারদের সেদিন সিবিআই আদালতে যেতে কোনো বাধা পেতে হয়নি। শুনানি হয়েছিল ইন্টারনেটের মাধ্যমে। বিচারক ছিলেন তাঁর নিজের ঘরে। আইনমন্ত্রীও তিন তলার সেই সিবিআই আদালতে যাননি। সেদিনের শুনানিতে সিবিআই কোনওরকম বাধা পাওয়ার কথা উল্লেখও করেনি। বরং যেকথা এখন বলা হচ্ছে, তা ঘটনার পরে ভেবে তৈরি করা বলে তিনি দাবি করেন। সিংভি আদালতকে জানান, গত ১৭ মে বিচারভবনের অন্যান্য আদালতের বিচারকরা কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই কাজ করেছিলেন। তাহলে শুধুমাত্র সিবিআই আদালতের শুনানি সিবিআই কেন বাতিল করতে চায়?