দীর্ঘ নীরবতার পর মণিপুরে মোদী: তৃণমূলের তীব্র সমালোচনার মুখে প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৬:০০: দীর্ঘ ৮৬৪ দিন পর অবশেষে মণিপুরে পা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০২৩ সালের মে মাসে মেইতেই ও কুকি-জো জনগোষ্ঠীর মধ্যে জাতিগত সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে রাজ্যজুড়ে চলেছে সহিংসতা, বাস্তুচ্যুতি ও প্রশাসনিক অচলাবস্থা। এই সময়ের মধ্যে ২৬০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং প্রায় ৬০,০০০ মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন।
শনিবার, প্রধানমন্ত্রী মোদী মণিপুরে এসে কিছু উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। তবে এই সফরকে ঘিরে বিরোধী দলগুলোর মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস এক্স হ্যান্ডেলে মোদীর তীব্র সমালোচনা করে লেখা হয়, “৮৬৪ দিনের সুপরিকল্পিত নীরবতা। সেই দীর্ঘ, শূন্য সময়জুড়ে মণিপুর সহ্য করেছে নিরন্তর হত্যালীলা, সাম্প্রদায়িক বিভাজন এবং সরকারের সম্পূর্ণ দায় এড়িয়ে চলার পরিণতি।”
মোদীর নীরবতা, নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলে তৃণমূল। এক্স পোস্টে আরও বলা হয়ে “দেশের আত্মার রক্ষাকর্তা হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে অভ্যস্ত প্রধানমন্ত্রী মণিপুরকে চিনলেন তখনই, যখন মানুষের জীবন ভেঙে চুরমার, গ্রাম জ্বলছে, সম্প্রদায় রক্তাক্ত। নরেন্দ্র মোদীর নীরবতা ততদিনে পরিণত হয়েছে নীরব সহযোগিতায়। এই দেরিতে মণিপুরের হদিশ পাওয়া কোনও নেতৃত্বের পরিচয় নয়; বরং এটি এক শীতল হিসাবনিকাশ, এক শাসনের মুখোশ উন্মোচন, যার ভিত্তি নির্বাচিত সহানুভূতি আর দেখনদারি দেশপ্রেম।”
মোদী রাজ্যের আপদকালীন অবস্থায় যান না, একমাত্র ধ্বংসস্তূপে পরিণত হলে যান, এই ভাবে মোদীর বিরুদ্ধে সরাসরি তোপ দাগে ঘাসফুল শিবির। তৃণমূল লেখে, “ভারতের পক্ষে এমন প্রধানমন্ত্রীকে বহন করা সম্ভব নয়, যিনি কেবল ধ্বংসস্তূপে পরিণত হলে তবেই কোনও রাজ্যের খোঁজ নেন।”
তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখলে এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “যাঁদের প্রিয়জনদের মণিপুরে ধর্ষণ করা হয়েছে বা হত্যা করা হয়েছে, তাঁদের সবাইকে ধন্যবাদ দিতে হবে মোদীকে-কারণ তিনি বিলাসবহুল গাড়িতে চেপে, হাই-স্পিড কনভয়ে চড়ে ৯০ মিনিট সময় নিয়ে তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন। তাও আবার হত্যাযজ্ঞের দু’ বছর পর। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর আর বিজেপির এজেন্সি এএনআই-এর পক্ষে এটিকে পাবলিক রিলেশনস-র প্রচারে ব্যবহার করা সত্যিই লজ্জাজনক।”
