রাষ্ট্রপতি ভবনে মোদী-মুর্মু বৈঠক: ধনখড়ের উত্তরসূরি বাছাই, নাকি আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক কৌশল?
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে হয় এই বৈঠক

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২৩:০০: রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে হয় এই বৈঠক। রাষ্ট্রপতির দপ্তরের তরফে বৈঠকের ছবি প্রকাশ করা হলেও আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও সরকারি মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবু আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আন্তর্জাতিক আঙিনা
প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বিদেশ সফরের পর এই বৈঠক নতুন তাৎপর্য বহন করছে। কয়েক দিন আগে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর বৈঠকে যোগ দিতে চীন সফরে গিয়েছিলেন মোদী। সেখানে তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন। ওই দ্বিপাক্ষিক বৈঠককে ঘিরে তৈরি হওয়া নতুন সমীকরণ আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলে যথেষ্ট আলোড়ন ফেলেছে।
এদিকে, মোদীর ওই সফরের পরেই আমেরিকার সুরও বদলাতে শুরু করে। প্রথমে ভারত নিয়ে কড়া মন্তব্য করলেও পরে সুর নরম করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে তিনি বলেন, “ভারতকে হারিয়ে ফেলিনি তো! মোদী আমার খুব ভাল বন্ধু। আমেরিকা-ভারতের সম্পর্ক সব সময় অটুট থাকবে।” প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজেও সামাজিক মাধ্যমে এই মন্তব্যকে ইতিবাচক বলে ব্যাখ্যা করেছেন এবং দুই দেশের কৌশলগত সম্পর্কের দৃঢ়তার ওপর জোর দিয়েছেন।
উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রস্তুতি
রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, এই বৈঠকের আরেকটি তাৎপর্য রয়েছে অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রেও। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত রয়েছে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন। বর্তমান উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের উত্তরসূরি কে হবেন, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা চলছে। তার আগে সাংবিধানিক শীর্ষ দুই ব্যক্তিত্বের এই বৈঠককে সহজভাবে নিচ্ছে না রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের তাৎপর্য
প্রশ্ন উঠছে, রাষ্ট্রপতি ভবনের এই বৈঠক শুধুই সৌজন্য নাকি এর মধ্যে লুকিয়ে আছে কূটনৈতিক বা রাজনৈতিক বার্তা? একদিকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের সক্রিয় ভূমিকা এবং নতুন সমীকরণ, অন্যদিকে দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক রণকৌশল-দুই দিক থেকেই বৈঠকের গুরুত্বকে অস্বীকার করা যাচ্ছে না।