সামনেই বাংলায় ভোট, তাই তার আগে দিল্লির বাঙালি প্রধান এলাকার দুর্গা মণ্ডপে এলেন মোদী?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ০০:০২: মঙ্গলবার অষ্টমীর সন্ধ্যায় দিল্লির ‘মিনি কলকাতা’ চিত্তরঞ্জন পার্কে মা দুর্গার আরতি করে দুর্গোৎসবে শামিল হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গেলেন চিত্তরঞ্জন পার্ক কালীবাড়িতেও। মাসছয়েক পরেই বিধানসভা নির্বাচনের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলা। তার আগে দিল্লির বাঙালি মহল্লার দুর্গোৎসবে মোদীর যোগদানের ছবি ও ভিডিয়ো নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি ভোটের বছর বলেই হঠাৎ দুর্গা শরণে গেলেন প্রধানমন্ত্রী? চিত্তরঞ্জন পার্কের মতো বাঙালি প্রধান এলাকার পুজো মণ্ডপে হাজির হয়ে শুধু দিল্লির বাঙালিদের মন নয়, বরং পশ্চিমবঙ্গের মনই তিনি বেশি করে ছোঁয়ার চেষ্টা করলেন বলে অনেকের মত।
এদিন সন্ধ্যায় পদ্মফুল হাতে নিয়ে দিল্লির চিত্তরঞ্জন পার্কের পুজোয় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তাও। চিত্তরঞ্জন পার্কের কালীবাড়িতে মা কালীকেও এদিন আরতি করেন তিনি। সেখানেই দুর্গাপুজোর মণ্ডপে পৌঁছলে ঢাক বাজিয়ে, মহিলারা উলুধ্বনি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। দুর্গাপুজোর এইভাবে প্রধানমন্ত্রীর সামিল হওয়া তাৎপর্যপূর্ণ।থেকে এবারে যে দুর্গাপুজোকে তারা প্রাধান্য দেবে তা আগেই ঠিক করা হয়েছিল। তবে তাতে যে খোদ প্রধানমন্ত্রীও সামিল হবেন সেকথা আগে ঘুণাক্ষরেও কেউ টের পায়নি।
দুর্গামণ্ডপ এবং কালীবাড়িতে নিজের উপস্থিতির ছবি এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করেন মোদী। ইনস্টাগ্রামে ভাগ করে নেন তার ভিডিয়ো। সমাজমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বাংলায়ও পোস্ট করেন। লেখেন, ‘‘আজ মহাষ্টমীর পুণ্যদিনে আমি দিল্লির চিত্তরঞ্জন পার্কের দুর্গাপুজোয় অংশ নিতে গিয়েছিলাম। চিত্তরঞ্জন পার্ক, বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। আমাদের সমাজের ঐক্য ও সাংস্কৃতিক প্রাণময়তার প্রকৃত রূপ ফুটে ওঠে এই অনুষ্ঠানগুলিতে। সকলের সুখ ও কল্যাণের জন্য প্রার্থনা করেছি আমি।’’