মাস্ক-গ্লাভস নিয়ে এই সব নিয়ম না মানলে কিন্তু বড় বিপদ
করোনাকে অবহেলা না করে বরং আরও সতর্ক হয়ে দৈনিক কাজকর্ম সারতে হবে আমাদের। সঙ্গে মজুত রাখতে হবে রোগ ঠেকানোর নানা হাতিয়ার।
June 16, 2020
|
2 min read
Published by: Drishti Bhongi
আনলক পর্ব শুরু হয়েছে। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পথে। তবে রোগমুক্তির কোনও লক্ষণ এখনও দেখা দেয়নি। তাই করোনাকে অবহেলা না করে বরং আরও সতর্ক হয়ে দৈনিক কাজকর্ম সারতে হবে আমাদের। সঙ্গে মজুত রাখতে হবে রোগ ঠেকানোর নানা হাতিয়ার।
বাইরে বেরোলে কী কী রাখবেন সঙ্গে? কী ভাবেই বা সাবধান হবেন?

- মাস্ক না পরে রাস্তায় নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, উপযুক্ত উপায়ে মাস্ক ব্যবহারে করোনাকে রুখে দেওয়া যায় প্রায় ৬০ শতাংশ।
- মাস্ক গলায় ঝুলিয়ে বা নামিয়ে নয়, মুখে বেঁধেই কথাবার্তা বলতে হবে। নাকের নীচে মাস্ক নয়। নাকও যেন ঢাকা থাকে।
- কথা বলার সময়ও ড্রপলেট বের হয় এবং তা থেকেও রোগ ছড়ায়। মাস্ক পরলে সেই ভয় দূর হয়।
- ঘন ঘন মাস্কের গায়ে হাত দেওয়ার ঠিক নয়। এতে মাস্কের গায়ে থাকা জীবাণু যেমন হাতে লাগে, তেমনই হাতের জীবাণু মাস্কে লেগে যায়।
- মাস্ক নাড়ানোর দরকার পড়লে তার সুতো বা দড়িতে হাত দিন। সরাসরি মাস্কের গায়ে হাত নয়। মাস্ক খোলা ও পরার আগে ভাল করে হাত ধুয়ে নিন।
- চেষ্টা করুন তিন বা চার স্তরের মাস্ক পরতে। সার্জিকাল বা সুতির কাপড়ের মাস্ক পরুন। সার্জিকাল মাস্ক ফেলুন মুখবন্ধ কোনও ডাস্টবিনে অথবা পুড়িয়ে ফেলুন।
- সুতির মাস্ক পরলে ফিরে এসেই কেচে নিতে হবে। সাবানজলে কেচে জীবাণুনাশক লোশন বা গরম জলে ধুয়ে মেলে দিন।
- এন নাইনটি ফাইভ মাস্ক স্বাস্থ্যকর্মীরা পরতে পারেন। তবে সে ক্ষেত্রে প্রতি দিন এন নাইনটি ফাইভ মাস্ক কাচতে হবে। ভাল করে না শুকোলে পরা যাবে না। ভিজে মাস্ক পরলে জীবাণু সংক্রমণ দ্রুত হবে।
- হাতে থাকুক গ্লাভস। যাঁদের কাজে ‘হিউম্যান কনট্যাক্ট’ বেশী, তাঁরা অবশ্যই গ্লাভস পরুন।
- বার বার চুলে হাত দেওয়া বা চোখে-মুখে হাত দেওয়ার প্রবণতা থাকলেও গ্লাভস পরুন। গ্লাভস থাকলে সে প্রবণতায় রাশ টানা যাবে।
- গ্লাভস খোলার পর ভাল করে হাত ধুয়ে তবে খাবার খান। গ্লাভস সমেত টিফিনবক্স বা জলের বোতলে হাত দেবেন না।
- অফিসে সহকর্মীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব থাক। সুখ-দুঃখ ভাগ করুন, কিন্তু টিফিন নয়। একসঙ্গে ধূমপান করতে যাওয়াতেও রাশ টানুন।
তবে শুধু সচেতন হলেই চলবে না। নিজের করোনা সংক্রমণ রুখতে নিজেকেও দায়িত্ব নিতে হবে।নিজের শরীরের দিকেও চোখ রাখুন। যদি জ্বর, কাশি ইত্যাদি উপসর্গ আপনার বা আপনার পরিবারের কারও দেখা দেয়, দায়িত্ব নিয়ে হোম কোয়রান্টিনে অভ্যস্ত হয়ে উঠুন। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।