সার্জেন হতে অনীহা! NEET-PG-র কাউন্সেলিংয়ে ভয়ঙ্কর ছবি, অপারেশন করার ডাক্তার মিলবে না?

চিকিৎসকদের অনেকের মত, মার, নয়তো মামলা; এই দু’টি কারণে এমএস পড়তে চাইছেন না চিকিৎসক পড়ুয়াদের একটা বড় অংশ।

November 27, 2024 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কে করবেন অপারেশন? সার্জেন কি আর পাওয়া যাবে না? নিট পিজির প্রথম রাউন্ডের সর্বভারতীয় কাউন্সেলিং দেখে চিকিৎসকদের মনে জোরালো হয়েছে এ প্রশ্ন। দেখা যাচ্ছে মাত্র ১৪ শতাংশ চিকিৎসক পড়ুয়া সার্জন হতে চাইছেন, অর্থাৎ এমএস পড়তে চাইছেন। শুধু জেনারেল সার্জারি নয়, অস্ত্রোপচার সংক্রান্ত যাবতীয় শাখায় একই ছবি। নিট পিজিতে সর্বভারতীয় র‌্যাংকিংয়ে প্রথম ১৫০০ মেধাবী তরুণ চিকিৎসকদের এহেন প্রবণতা সত্যিই চিন্তার। চিকিৎসকদের অনেকের মত, মার, নয়তো মামলা; এই দু’টি কারণে এমএস পড়তে চাইছেন না চিকিৎসক পড়ুয়াদের একটা বড় অংশ।

জানা গিয়েছে, নিট পিজিতে প্রথম দেড় হাজারের মধ্যে থাকা চিকিৎসক পড়ুয়াদের ইএনটি বা নাক-কান-গলার বিশেষজ্ঞ হওয়ার আগ্রহ কম। অনীহার নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে অপথালমোলজি বা আই সার্জন বা চোখের ডাক্তারিতে ভর্তির ইচ্ছা। অর্থোপেডিকস, গাইনেকোলজি ও জেনারেল সার্জারিতে ভর্তির আগ্রহও তলানিতে। প্রথম দেড় হাজারের মধ্যে মাত্র ১৪.২৬ শতাংশ চাইছেন ভবিষ্যতে অস্ত্রোপচার করতে। নন-সার্জারি শাখাগুলির ‘এমডি’ আসনের দাবিদার প্রচুর। সেরাদের ৮৫ শতাংশই সেদিকে ঝুঁকছেন।

শীর্ষে জেনারেল মেডিসিন, প্রথম রাউন্ডের শেষে তাতে ভর্তিতেই চিকিৎসক-পড়ুয়াদের আগ্রহ সবচেয়ে বেশি। তারপরই রেডিওলজিতে। তারপর ডার্মাটোলজি বা চর্মরোগ, শিশু চিকিৎসা বা পেডিয়াট্রিকস এবং সাইকিয়াট্রি বা মনোরোগ। গত চার-পাঁচ বছর ধরে ভারতে এই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। শুধু মার বা মামলার ভয় নয়, সার্জারি শাখায় প্রতিষ্ঠিত হতেও সময় লাগে। চিকিৎসকদের মতে, ছেলেমেয়েরা ঝামেলায় যেতে চাইছেন না। সার্জনের দোষ না থাকলেও বিভিন্ন রোগীর ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া হতে পারে। মানুষ তা বুঝবে না। ডাক্তারের ঘাড়েই যাবতীয় দায় চাপে। বড়সড় ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা হয়। ফলে সার্জারি পড়ায় আগ্রহ কমছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen