Nepal GenZ Protests: তরুণদের কণ্ঠে নতুন সংবিধানের দাবি, বাংলাদেশের কায়দায় অন্তর্বর্তী সরকারের সম্ভাবনা

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ১৮:১৯: নেপাল যেন আবার এক রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে শুরু করে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে এক তরুণ-নেতৃত্বাধীন গণআন্দোলন। যা এখন ‘জেন জি বিপ্লব’ (GenZ Protests) নামে পরিচিত। এই আন্দোলন শুধু একটি সরকারের বিরুদ্ধে নয়, বরং একটি পুরনো রাজনৈতিক কাঠামোর বিরুদ্ধে।
বামপন্থী নেতা কেপি শর্মা ওলির পদত্যাগের পর নেপালের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণে চলে গিয়েছে গোটা দেশ। শহরের রাস্তায় আগুন, ধ্বংস, হিংসাস- সব মিলিয়ে এক অরাজক পরিস্থিতি। কিন্তু এই বিশৃঙ্খলার মধ্যেই উঠে আসছে কিছু সুসংগঠিত দাবি, যা তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ ভাবনার প্রতিফলন।
নেপালের ‘জেন জি’ বিপ্লবীরা বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের কৌশল অনুসরণ করে রাজনৈতিক ও সামাজিক সংস্কারের দাবি তুলেছেন। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে:
– সংবিধান পুনর্লিখন ও সংস্কার
– দুর্নীতিবাজ নেতাদের বিরুদ্ধে তদন্ত
– ‘সেপ্টেম্বর বিপ্লবে’ নিহত ২২ জনকে শহিদের মর্যাদা
– নিহতদের পরিবারকে রাষ্ট্রীয় সম্মান ও আর্থিক সহায়তা
– বেকারত্ব দূরীকরণ ও সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠা
– সীমান্তে অনুপ্রবেশ রোধ
আন্দোলনকারীদের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এই আন্দোলন কোনও দল বা ব্যক্তির জন্য নয়, বরং সমগ্র প্রজন্ম এবং জাতির ভবিষ্যতের জন্য। শান্তি অপরিহার্য, তবে তা কেবল একটি নতুন রাজনৈতিক ভিত্তির উপরই নির্ভর করবে।”
২০১৫ সালে রাজতন্ত্রের পতনের পর নেপাল গণতন্ত্রের পথে হাঁটলেও, আজকের পরিস্থিতি সেই পথের স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। অনেকেই ভাবছেন, বাংলাদেশের মতো অন্তর্বর্তী সরকার কি নেপালের ভবিষ্যৎ হতে পারে? নাকি সেনা হস্তক্ষেপের ফলে রাজতন্ত্রের ছায়া আবার ফিরে আসবে?
নেপালের এই তরুণ-নেতৃত্বাধীন বিপ্লব এখন আন্তর্জাতিক মহলের নজর কেড়েছে। বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে, এই আন্দোলন কি সত্যিই একটি নতুন রাজনৈতিক অধ্যায়ের সূচনা করবে? নাকি আরও গভীর সংকটে ঠেলে দেবে দেশকে?