Nepal: গণবিদ্রোহে সরকার পতনের পর হঠাৎ প্রথম প্রকাশ্য সমাবেশে ওলি, নেপথ্যে কারণ কী?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২০:০০: গণবিদ্রোহে সরকার পতনের ১৮ দিন পর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি (KP Sharma Oli) নেপালে প্রকাশ্যে সমাবেশ করেছেন। শনিবার ভক্তপুরে তাঁর দল সিপিএন (ইউএমএল)-এর ছাত্র ও যুব সংগঠনের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। চরম জনরোষ ও রক্তক্ষণের পর এই সমাবেশ রাজনৈতিক দিক থেকে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। অনুমান করা হচ্ছে, ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর নতুন করে দেশের তরুণ সম্প্রদায়ের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করাই এই সমাবেশের মূল উদ্দেশ্য।
৮ সেপ্টেম্বর নেপালে জেন-জি আন্দোলন চরম আকার নেওয়ার পর ৯ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করেছিলেন ওলি। এরপর নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি। এতদিন ওলির কোনো হদিশ পাওয়া যায়নি। সূত্রের খবর, নিরাপত্তার কারণে তিনি নেপাল সেনার তত্ত্বাবধানে ছিলেন এবং পরে অস্থায়ী বাসভবনে স্থানান্তরিত হন। দলের নেতা প্রদীপ গিয়াওয়ালি জানান, ওলি শীঘ্রই সচিবালয়ের সভায় যোগ দেবেন এবং এই জনসভা তারই একটি অংশ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ওলি দেশের যুব সমাজের মন জয় করে নেপালের রাজনীতিতে নিজেকে আবার প্রাসঙ্গিক হিসেবে তুলে ধরতে চাইছেন। ২০২৬ সালের মার্চে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার আগে এ ধরনের প্রকাশ্য সমাবেশ তাঁর রাজনৈতিক কৌশলের অংশ।
এদিকে জেন-জি আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ইতিমধ্যেই ভেঙে দেওয়া হয়েছে নেপালের সংসদ। বিক্ষোভে জড়িত তরুণরা রাস্তায় নেমে রাজনৈতিক সংস্কারের দাবি তুলেছে। ৮ সেপ্টেম্বর সংসদের সামনে আন্দোলন চরম আকার নেয়, সোশাল মিডিয়া বন্ধের প্রতিবাদ ও সরকারের দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। নিরাপত্তা বাহিনী জলকামান, কাঁদানে গ্যাস এবং গুলি ছোড়ে। এতে ৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে প্রথম দিনে ২১, পরদিন ৩৯ এবং অগ্নিদগ্ধ হয়ে ১৫ জনের মৃত্যু ঘটে।