আস্থা ভোটে পরাজিত ওলি, নেপালে রাজনৈতিক টানাপোড়েন অব্যাহত

করোনা পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী ওলির ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ জমতে থাকে দেশের মানুষের মধ্যে। সেই ক্ষোভের প্রতিফলনই হয় নেপালী সংসদে।

May 11, 2021 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নেপালের (Nepal) সংসদে আস্থা অর্জন করতে পারলেন না প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি (KP Sharma Oli)। আজ সোমবার আস্থা ভোটে তিনি হেরে যান। ফলে নিয়ম মেনে এবার তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে। দেশের করোনা (Corona) পরিস্থিতি সামলাতে না পারার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ৯৩টি ভোট পড়ে এবং বিপক্ষে পড়ে ১২৪টি ভোট। ১৫ জন সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন। রাজতন্ত্র থেকে বেরিয়ে এসে নেপালে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয় ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে। তার পর থেকে এই প্রথম কোনও প্রধানমন্ত্রীকে আস্থা ভোটে হারতে হল।

দায়িত্বে নেওয়ার পর ৩৮ মাস প্রধানমন্ত্রী পদে ছিলেন কেপি ওলি। তাঁর প্রধানমন্ত্রীত্ব কালে একাধিক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। যার মধ্যে দেশের সীমানা নিয়ে ভারতের সঙ্গে মতবিরোধ দেখা দেয়। এই কাজের জন্য ওলিকে পিছন থেকে চিন মদত দিচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। ভারতের তরফে বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানানো হয়। এমনকী ওলির নিজের পার্টিতেও ভারতের সঙ্গে এই অযথা টানাপোড়েন অনেকে ভালভাবে নেননি। তাঁরা সেই মতামত প্রকাশ্যেই ব্যক্ত করেন। তখনই তাঁকে প্রধানমন্ত্রীত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা ওঠে। কিন্তু পরে বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায়।

কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী ওলির ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ জমতে থাকে দেশের মানুষের মধ্যে। সেই ক্ষোভের প্রতিফলনই হয় নেপালী সংসদে। ভোটে হেরে যাওয়ার পর ওলি বলেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক। তিনি দেশের মানুষের স্বার্থেই কাজ করছিলেন। কিন্তু সঙ্কীর্ণ রাজনীতির শিকার হলেন তিনি। এবার তাঁকে নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারির কাছে পদত্যাগ পত্র পাঠাতে হবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen