Nepal Protest: কাঠমান্ডুর হোটেলে আগুন, প্রাণ গেল ভারতীয় মহিলার

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি,১৬:৩০: নেপালের (Nepal) অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির বলি হলেন এক ভারতীয় মহিলা। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) গাজিয়াবাদের (Ghaziabad) বাসিন্দা রাজেশ দেবী সম্প্রতি স্বামী রামবীর সিং গোলার সঙ্গে পশুপতিনাথ মন্দির (Pashupatinath Temple) দর্শনে গিয়েছিলেন। তবে কাঠমান্ডুর (Kathmandu) একটি পাঁচতারা হোটেলে থাকাকালীন হঠাৎই বিপদ নেমে আসে। জেন জি (Gen-Z) প্রজন্মের আন্দোলনকারীরা হোটেলে আগুন (FIRE) লাগিয়ে দিলে আতঙ্কে অনেকেই জানলা ভেঙে নিচে ঝাঁপ দেন। সেখানেই দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন রাজেশ দেবী।
হাসপাতালে (Hospital) ভর্তি করা হলেও শেষ পর্যন্ত তাঁকে বাঁচানো যায়নি। ১০ সেপ্টেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু (Death) হয় তাঁর। পরিবারের অভিযোগ, একদিকে অগ্নিকাণ্ডের ভেতর টানটান আতঙ্ক, অন্যদিকে দু’দিন ধরে নেপালে বাবা-মায়ের খোঁজই পাননি রাজেশ দেবীর ছেলে বিশাল। অবশেষে একটি রিলিফ ক্যাম্প (Relief Camp) থেকে বাবাকে উদ্ধার করতে পারলেও তখন তিনি জানতে পারেন তাঁর মা আর বেঁচে নেই। বিশালের অভিযোগ, ভারতীয় দূতাবাস থেকেও কোনও সাহায্য মেলেনি। বৃহস্পতিবার দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে মায়ের দেহ ভারতে ফেরানো হয়।
জানা গেছে, গত ৪ সেপ্টেম্বর নেপালে হঠাৎই নিষিদ্ধ করা হয় ফেসবুক, ইউটিউব ও এক্স-সহ একাধিক সামাজিক মাধ্যম। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে তরুণ প্রজন্ম। ৯ সেপ্টেম্বর থেকে কাঠমান্ডুসহ বিভিন্ন শহরে প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরু হয়। ধীরে ধীরে তা হিংসাত্মক আকার নেয়। মন্ত্রীদের বাড়ি, দপ্তর থেকে হোটেল সবকিছুতেই আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সেই উন্মত্ত বিক্ষোভের মধ্যেই প্রাণ হারালেন রাজেশ দেবী, যিনি এসেছিলেন ভারত থেকে শুধুমাত্র মন্দির দর্শনের জন্য।