গান্ধীজির সঙ্গে কেমন সম্পর্ক ছিল নেতাজির? জানালেন মেয়ে অনিতা বসু পাফ
গত সপ্তাহ থেকেই কঙ্গনার মন্তব্যকে কেন্দ্র করে নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছে দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের শেষ পর্ব।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু (Netaji Subhash Chandra Bose) ও মহাত্মা গান্ধীর (Mahatma Gandhi) সম্পর্ক নিয়ে গত কয়েক দশক ধরেই নানা কথা শোনা গিয়েছে। এবার সেই সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন নেতাজিকন্যা অনিতা বসু পাফ। বুধবার এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে এবিষয়ে বলতে গিয়ে অনিতা বলেন, গান্ধীজির ধারণা ছিল তিনি নেতাজিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না। অন্যদিকে তাঁর বাবার গভীর শ্রদ্ধা ছিল ‘জাতির জনকে’র প্রতি।
সম্প্রতি কঙ্গনা রানাউতের (Kangana Ranaut) একটি মন্তব্য নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। বলিউড অভিনেত্রী দাবি করেছিলেন, ভারত প্রকৃত স্বাধীনতা পেয়েছিল ২০১৪ সালে, যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi) ক্ষমতায় এসেছিলেন। ১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীনতা পায়নি। ওটা ছিল ভিক্ষা। এর পাশাপাশি সম্প্রতি কঙ্গনা দাবি করেছিলেন, ব্রিটিশদের হাতে নেতাজিকে তুলে দিতে প্রস্তুত ছিলেন গান্ধী ও জওহরলাল নেহরু। এই মন্তব্য প্রসঙ্গেই প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়েই অনিতা নেতাজি ও গান্ধীর সম্পর্ক নিয়ে মুখ খোলেন।
তিনি বলেন, ”ওঁরা দু’জনই দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মহান নায়ক। এটা একটা সমন্বয়ের মতো। কিছু কংগ্রেস নেতা দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করে আসছেন, একমাত্র অহিংস আন্দোলনের জন্য়ই দেশ স্বাধীন হয়েছিল। কিন্তু আমরা সবাই জানি, নেতাজি ও আইএনএ-র কর্মকাণ্ডেরও বিরাট অবদান রয়েছে দেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার ক্ষেত্রে। তবে সেই সঙ্গে এটা বলাও ভুল হবে যে, কেবল নেতাজি ও আইএনএ-ই দেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। গান্ধী বহু মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছেন। নেতাজিকেও।” তিনি মনে করিয়ে দেন, ”লক্ষ লক্ষ মানুষ দেশের স্বাধীনতায় অবদান রেখেছেন।”
গত সপ্তাহ থেকেই কঙ্গনার মন্তব্যকে কেন্দ্র করে নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছে দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের শেষ পর্ব। এদিকে ইনস্টাগ্রামে স্টোরিতে একটি পুরনো সংবাদপত্রের নিবন্ধ শেয়ার করেছিলেন অভিনেত্রী। সেখানেই এই দাবি করা হয়েছিল, গান্ধীজি ও নেহরু নেতাজিকে হস্তান্তর করতে রাজি ছিলেন।
সেটি শেয়ার করে কঙ্গনা লিখেছিলেন, হয় নেতাজি নয় গান্ধী দু’জনের মধ্যে একজনকে বেছে নিতে হবে সমর্থনের জন্য। তাঁর দাবি, ‘দুটো একসঙ্গে হতে পারবেন না আপনি। নিজের নায়ককে বেছে নিতে সিদ্ধান্ত নিন।’ কঙ্গনার এই ধরনের বক্তব্য প্রসঙ্গে নেতাজি-কন্যার প্রতিক্রিয়া, এই ধরনের একদেশদর্শী সিদ্ধান্ত না নেওয়াই উচিত।