পঞ্জাবে ভোটের আগে মোদীর পোশাক রাজনীতিকে কটাক্ষ নেটনাগরিকদের
সামনেই পাঞ্জাবে নির্বাচন, কিন্তু সদ্য সমাপ্ত কৃষক আন্দোলন পাঞ্জাবের নির্বাচনী ময়দানে বিজেপিকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে। অতএব প্রধানমন্ত্রী মোদী ফের একবার বেশ রাজনীতিকেই হাতিয়ার করলেন।

কথায় বলে যস্মিন দেশে যদাচার, সেই চলতি প্রবাদকেই রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে ব্যবহার করছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী।
ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে পাঞ্জাব-সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। সামনেই পাঞ্জাবে নির্বাচন, কিন্তু সদ্য সমাপ্ত কৃষক আন্দোলন পাঞ্জাবের নির্বাচনী ময়দানে বিজেপিকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে। অতএব প্রধানমন্ত্রী মোদী ফের একবার বেশ রাজনীতিকেই হাতিয়ার করলেন।
তবে এ জিনিস নতুন নয়! প্রথম থেকেই এই পোশাকের রাজনীতি করে আসছেন মোদী। বিভিন্ন রাজ্যে নির্বাচনী জনসভায় ঐ সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বিশেষ পোশাকে সজ্জিত হয়ে মোদীকে উপস্থিত হতে দেখা যায়। স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে নির্বাচনী ময়দানে সস্তা জনপ্রিয়তা আদায়ের রাজনীতিতে মোদী সিদ্ধহস্ত। কেবল প্রচারসভার জন্যই নয়, সরকারি অনুষ্ঠানের পোশাক হিসেবেও মোদী, নির্বাচন আসন্ন এমন কোন একটি রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী পোশাককেই বেছে নেন। এদিন তেমনই এক কান্ড ঘটালেন মোদী। আজ এনসিসি-র এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। সেখানে তাঁকে গার্ড অফ ওনারও দেওয়া হয়। ঐ অনুষ্ঠানে মোদীকে একটি পাগড়ি পরিহিত অবস্থায় দেখা গিয়েছে। পাগড়ি পরেই তিনি গার্ড অফ ওনার নিচ্ছেন এমন ছবিও সামনে এসেছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ঐ বিশেষ ধরণের পাগড়ি শিখ সাম্প্রদায়ের মানুষদের কাছে খুবই পবিত্র হিসেবে পরিগণিত হয়। ভক্তি ও সন্মান প্রদর্শনের জন্য যা ব্যবহৃত হয়। দশম শিখগুরুর পবিত্র খালসার উদ্দেশ্য ঐ ধরণের পাগড়ি নিবেদন করা হয়েছিল। এমন জিনিস যেমন তেমন করে, যখন ইচ্ছে তখন পরা যায় না। প্রধানমন্ত্রীর এই পাগড়ি পরা ছবি সামনে আসতেই, ক্ষুব্ধ হন নেটিজেনরা। মোদীর উদ্দেশ্যে সাধারণ মানুষের কটাক্ষ ভেসে আসতে শুরু করে। কেউ কেউ একে নাটক বলেও শ্লেষাত্মক আক্রমণ করেছেন। এক নেটিজেন প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলছেন, “এটা কোনো টুপি নয় যে যখন ইচ্ছে তখন জোর করে ফ্যান্সি ড্রেসের উপর পরে নেবেন!”
সস্তা রাজনীতির জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শিখ সম্প্রদায়ের পবিত্র গরিমাকে ক্ষুন্ন করলেন। ভোট রাজনীতির জন্য প্রধানমন্ত্রী বৈচিত্রময় ভারতের কৃষ্টি-সংস্কৃতিকে যেভাবে ব্যবহার করে চলেছেন তাতে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে শিল্পী সকলেই ক্ষুব্ধ। বলাইবাহুল্য নিজেদের রাজনৈতিক সুবিধার জন্য এ কাজ করে প্রধানমন্ত্রী মোদী দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে লঘু করে ফেলছেন এবং কার্যত বালখিল্য পর্যায়ে নামিয়ে আনছেন।