মিশ্রোপ্যাথি: অ্যালোপ্যাথির সঙ্গে আয়ুর্বেদকে মেশানোর পরিকল্পনা কেন্দ্রের?
অ্যালোপ্যাথির সঙ্গে আয়ুর্বেদকে মিশিয়ে নতুন ‘মিশ্রপ্যাথি’র পাঠক্রম শুরু করার ভাবনাচিন্তা করছে কেন্দ্রীয় সরকার।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৫:৫৮: আপনার শরীরে একই সঙ্গে ঢুকছে টেস্ট করা কেমিক্যাল ওষুধ, আবার জড়িবুটি। হয়তো আলাদা-আলাদাভাবে প্রয়োগ করলে এই দুই ওষুধেরই কর্মক্ষমতা থাকতে পারতো, কিন্তু এক সাথেই দুরকম ওষুধ আপনার ওপর প্রয়োগ করতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। তাই অ্যালোপ্যাথির সঙ্গে আয়ুর্বেদকে মিশিয়ে নতুন ‘মিশ্রপ্যাথি’র পাঠক্রম শুরু করার ভাবনাচিন্তা করছে কেন্দ্রীয় সরকার।
এর আগে হিপোক্রেটিক ওথের সঙ্গে চরকের শপথ পড়ানো নিয়ে বিতর্কের মুখে জড়িয়েছিল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী এবং আয়ুষ দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী প্রতাপরাও যাদব সম্প্রতি একটি সরকারি অনুষ্ঠানে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন।
জানা যাচ্ছে, এই ইন্টিগ্রেটেড এমবিবিএস কোর্স পড়ানো হবে পুদুচেরির কেন্দ্রীয় মেডিক্যাল কলেজ জহরলাল ইনস্টিটিউট অফ পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল এডুকেশন এন্ড রিসার্চে। অ্যালোপ্যাথি শিক্ষার সঙ্গে আয়ুর্বেদ না ইউনানীকে মিশিয়ে দিয়ে নব্য গৈরিকীকরণের রাস্তা খুলে দিতে চাইছে কেন্দ্র, এমনটাই মত পর্যবেক্ষক মহলের। মডার্ন মেডিসিনের সঙ্গে কী ভাবে এক বন্ধনীতে বসবে ভারতের প্রাচীন ঔষধ বিজ্ঞান, তা বুঝতেই পারছে না চিকিৎসক মহল।
জানা যাচ্ছে, এখনও ভাবনাচিন্তার জায়গাতে থাকলেও এই পদক্ষেপ কার্যকরী রূপ নিতে পারে ২০২৭ সাল থেকে, যে একাডেমিক সেশন থেকে মিশ্রপ্যাথি বা “আলুর্বেদ”-এর (অ্যালোপ্যাথির “আলু” আর আয়ুর্বেদের “বেদ”) পড়াশোনা শুরু হতে পারে পুদুচেরিতে।