করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ নিয়ে নয়া নির্দেশিকা কেন্দ্রের

এখনও পর্যন্ত গোটা দেশে ২৮ হাজার ২৫২ জন এই রোগে আক্রান্ত। যার মধ্যে ৮৬ শতাংশ করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। ৬২.৩ শতাংশর রয়েছে ডায়াবেটিস।

June 8, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

দেশজুড়ে যখন সংক্রমণ নিম্নমুখী, তখন করোনা রোগীর চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি করল ডিরেক্টর জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসেস (ডিজিএইচএস)। সেখানে জ্বর ও ঠান্ডার ওষুধ ছাড়া উপসর্গহীন ও মৃদু উপসর্গযুক্ত করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত যাবতীয় ওষুধ বন্ধ করার কথা বলা হয়েছে। তালিকায় রয়েছে, করোনা চিকিৎসায় বহুল ব্যবহৃত আইভারমেক্টিন, ডক্সিসাইক্লিন, হাইড্রক্সিক্লোরোক্যুইন, ফ্যাভিপিরাভির, এমনকী জিঙ্ক ও মাল্টিভিটামিনও।

করোনা (Covid19) চিকিৎসায় জীবনদায়ী ইঞ্জেকশন হিসেবে পরিচিত রেমডিসিভির ও তোসিলিজুমাব ব্যবহার নিয়েও নির্দেশ দিয়েছে ডিজিএইচএস। বর্তমানে উপসর্গহীন ও মৃদু উপসর্গযুক্ত করোনা রোগীদের চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোক্যুইন, আইভারমেক্টিন, ডক্সিসাইক্লিন, জিঙ্ক ও মাল্টিভিটামিন ব্যবহার হচ্ছে। কিন্তু নয়া নির্দেশিকায় ডিজিএইচএস জানিয়েছে, উপসর্গহীন করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে কোনওরকম ওষুধের প্রয়োজন নেই। আর মৃদু উপসর্গের রোগীদের জ্বর, শ্বাসকষ্ট এবং শরীরে অক্সিজেনের মাত্রার উপর নজর রাখতে বলা হয়েছে।

এছাড়া রেমডিসিভির ও তোসিলিজুমাব ইঞ্জেকশন ব্যবহার নিয়েও সতর্ক করে দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। ডিজিএইচএস জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী বিজ্ঞানভিত্তিক সীমিত তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) জরুরি ভিত্তিতে রেমডিসিভির প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি মাঝারি বা গুরুতর নির্দিষ্ট কিছু করোনা রোগী, যাঁদের অক্সিজেন সাপোর্ট লাগছে, তাঁদের আক্রান্ত হওয়ার ১০ দিনের মধ্যে এই ইঞ্জেকশন ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রক বলেছে, রেমডিসিভিরের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার প্রয়োজন। কতটা ব্যবহার হচ্ছে, কী ধরনের করোনা রোগীকে দেওয়া হচ্ছে, তার নজরদারিতে প্রতিটি হাসপাতালকে ‘স্পেশাল ড্রাগ কমিটি’ তৈরির পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, তোসিলিজুমাব নিয়ে ডিজিএইচএস বলেছে, অত্যধিক গুরুতর ও সঙ্কটজনক করোনা রোগীদের চিকিৎসায় তোসিলিজুমাব ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে ডিসিজিআই।

করোনার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার বিশেষ মন্ত্রীগোষ্ঠীর বৈঠক হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ হর্ষ বর্ধনের সভাপতিত্বে বৈঠকে ঠিক হয়, রাজ্যগুলির সঙ্গে সমন্বয় বাড়াতে হবে। ভ্যাকসিন সরবরাহ যেমন বাড়বে, একইভাবে করোনার চিকিৎসা পরিকাঠামোও আরও মজবুত করা হবে। এদিকে, গত ৬১ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন সংক্রমণ হয়েছে ভারতে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১ লক্ষ ৬৩৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যাও গত এক সপ্তাহ ধরে ২০ লক্ষের কম। এই মুহূর্তে গোটা দেশে মাত্র সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ লক্ষ ১ হাজার ৬০৯। গত ২৪ ঘণ্টায় ১ লক্ষ ৭৪ হাজার ৩৯৯ জন করোনা জয়ী বাড়ি ফিরেছেন।

এদিকে, করোনার সংক্রমণ লাগাতার কমলেও মিউকোরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সমস্যা ক্রমশ বাড়ছে। এখনও পর্যন্ত গোটা দেশে ২৮ হাজার ২৫২ জন এই রোগে আক্রান্ত। যার মধ্যে ৮৬ শতাংশ করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। ৬২.৩ শতাংশর রয়েছে ডায়াবেটিস।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen