মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে কলকাতার কনভেন্ট রোডে হবে নতুন মেডিক্যাল হাব

কিছুদিন আগে পিজিতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের সময় স্থান সংকুলানের অনুযোগ করছিলেন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষরা।

December 6, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

খাস কলকাতায়, কনভেন্ট রোডে হতে চলেছে রাজ্যের নতুন মেডিক্যাল হাব। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে চার একর জমিতে হবে এই হাব। এখানেই হবে রাজ্যের তিন গুরুত্বপূর্ণ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল—এনআরএস, কলকাতা ও ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস। হবে ছাত্রছাত্রীদের হস্টেল, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মেডিক্যাল ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল। চক্ষু চিকিৎসার উৎকর্ষ কেন্দ্র আরআইও এখানেই স্থানান্তরিত করার প্রস্তাব দিয়েছিল মেডিক্যাল কলেজ। যা নিয়ে এখন তুমুল বিতর্ক চলছে। 


প্রসঙ্গত, ফ্রি মেডিসিন ও স্বাস্থ্যসাথী চালুর পর থেকে উত্তরোত্তর রোগী বাড়ছে রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে। কিন্তু চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলির পরিকাঠামো বৃদ্ধির জায়গার ব্যাপক অভাব রয়েছে। সমস্যা সবচেয়ে বেশি কলকাতার মেডিক্যাল কলেজগুলিতে। যেখানেই অল্পবিস্তর জায়গা মিলছে, ওয়ার্ড, আইসিইউ, বিভাগ, হস্টেল বাড়াতে উঁচু বাড়ি তুলে দিচ্ছে স্বাস্থ্যভবন। তাতেও ঠাঁই নাই হাল! 


কিছুদিন আগে পিজিতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের সময় স্থান সংকুলানের অনুযোগ করছিলেন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষরা। মমতা বলেন, দেখছি। যেমন কথা, তেমন কাজ। কিছুদিনের মধ্যেই খাস কলকাতাতেই তিন মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের জন্য চার একর বা ১২ বিঘার কিছু বেশি জায়গার ব্যবস্থা করে দেন। চটজলদি ১৭, কনভেন্ট রোডের (ওয়েস্টিং হাউস স্যাক্স ফার্মার লিমিটেড) সরকারি জায়গায় স্বাস্থ্য দপ্তরকে জমি দেওয়া হয়। চটজলদি স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম মেডিক্যাল অধ্যক্ষদের নিয়ে জায়গাটি দেখে আসেন। সার্ভে করে যান পূর্তদপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা। 


রবিবার এন্টালি থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরে শহর তথা রাজ্যের ভবিষ্যতের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও চিকিৎসার এই প্রকল্প দেখতে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেল, বিশাল জায়গা। একদিকে কনভেন্ট রোডের ব্রিজ উঠে গিয়েছে—লোরেটো স্কুল, পাস্তুর ইনস্টিটিউট ইত্যাদি খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে সিআইটি রোড। জমির অবস্থান এমনই, ন্যাশনাল ও কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে গাড়িতে বড়জোর ১৫ মিনিট! অন্যদিকে এনআরএস, আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজ প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান থেকে দূরত্ব পাঁচ কি সাত মিনিটের! নিরাপত্তারক্ষী সুজয় হালদার বললেন, স্বাস্থ্যকর্তারা এসেছিলেন। পূর্তদপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা সমীক্ষা করে গিয়েছেন। 
এলাকায় খোঁজখবর নিয়ে জানা গেল, কয়েক বছর আগে এখানে রেলের যন্ত্রাংশ তৈরি হতো। সেই কারখানা উঠে যাওয়ার পর জায়গাটি কার্যত পরিত্যক্ত ছিল। মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মঞ্জু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রোগী বাড়ছে। ডাক্তারি আসন বাড়ছে। দ্রুত পরিকাঠামো বাড়ানো দরকার। কিন্তু, জায়গা কই? ‘ম্যাডাম’-এর কাছে অনুরোধ রাখি। উনি কথা রেখেছেন। প্রচুর ধন্যবাদ ওঁকে। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen