বিজ্ঞাপনেও নতুন ট্রেন্ডের জন্ম দিয়েছিলেন ঋতুপর্ণ

ঋতুপর্ণ ঘোষের শুরুটা অনেকটা সত্যজিত রায়ের মতই, বিজ্ঞাপন জগতে।

August 31, 2020 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ঋতুপর্ণ ঘোষের শুরুটা অনেকটা সত্যজিত রায়ের মতই, বিজ্ঞাপন জগতে। এখনও সমানভাবে জনপ্রিয় তাঁর তৈরি বিজ্ঞাপনের প্রতিটি ক্যাচলাইন। এর জন্য পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার। সমানভাবে সাবলীল ছিলেন লেখালেখিতেও। নিজের সিনেমার চিত্রনাট্য থেকে শুরু করে ছোটগল্প বা পত্রিকা সম্পাদনা। সব ক্ষেত্রেই তাঁর অনায়াস যাতায়াত।  

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর শেষ করে বিজ্ঞাপন জগতে পা রাখেন ঋতুপর্ণ ঘোষ।  বিজ্ঞাপনে মূলত কপি রাইটারের কাজ করতেন ঋতুপর্ণ। বানিয়েছিলেন অ্যান্টিসেপটিক ক্রিমের বিজ্ঞাপনের সিরিজ। ক্যাচলাইনের জোরে মানুষের মুখে মুখে বিজ্ঞাপনগুলি শোনা গিয়েছে অসংখ্যবার। অ্যান্টিসেপটিক ক্রিমের বিজ্ঞাপনে সেই ক্যাচলাইন, জীবনের ওঠাপড়া যেন গায়ে না লাগে। এখনও সকলের মুখে মুখে। 

আনন্দলোক পত্রিকার জন্য তাঁর তৈরি করা ক্যাচলাইন, উল্টে দেখুন, পাল্টে গেছে  সেকি আজও ভুলতে পেরেছে বাঙালি। এভাবেই অসংখ্য বিজ্ঞাপনের জনপ্রিয় ক্যাচলাইন তৈরি করেছিলেন ঋতুপর্ণ ঘোষ। কপি এবং বেসলাইন লেখার জন্য দশটি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। 

বিজ্ঞাপনের সঙ্গে সমান স্বচ্ছন্দ ছিলেন লেখালেখিতেও। প্রথম প্রকাশিত ছোটগল্প বাৎসরিক। এবং পরের গল্প বাড়িওয়ালি।  পরবর্তীকালে এই দুটি ছোটগল্প থেকেই সিনেমা তৈরি হয়। বাত্‍সরিক গল্প থেকেই তৈরি হয় উনিশে এপ্রিল। মূলত গল্পই লিখতেন ঋতুপর্ণ। ছবির বেশিরভাগ চিত্রনাট্যই তাঁর লেখা।

দুটি পত্রিকার সম্পাদকও ছিলেন তিনি। রোববার পত্রিকায় ফার্স্ট পার্সন শিরোনামে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখালেখি করতেন ঋতুপর্ণ ঘোষ। বইপাগল ছিলেন ঋতুপর্ণ ঘোষ। একসঙ্গে অনেক কাজ করেছেন। কিন্তু কোনও কাজই তাঁর কাছে দায় ছিল না, তাই কাজগুলোও দায়সারা হয়নি। সবকাজেই খুঁজে পাওয়া যায় স্বতন্ত্র ও নিজস্ব ঋতুপর্ণকে। এটাই তাঁর শেষ পরিচয়।     

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen