নববর্ষে হরেক স্বাদের পেঁড়া, উদ্যোগ ইছামতীর

উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক তথা এই সমবায়ের স্পেশাল অফিসার সুমিত গুপ্ত বলেন, ইছামতী মিল্ক ইউনিয়ন আর্থিকভাবে সাবলম্বী হলে গ্রামীণ অর্থনীতি আরও মজবুত হবে।

December 23, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

ইংরেজি নববর্ষে বঙ্গবাসীকে মিষ্টিমুখ করাতে কোমর বেঁধে নামল ইছামতী মিল্ক ইউনিয়ন। আগামী জানুয়ারি মাসেই বাজারে আসছে সংস্থাটির তৈরি বিভিন্ন স্বাদের খাঁটি দুধের পেঁড়া। কী কী থাকছে তাদের ঝুলিতে? মূলত তিন ধরনের মিষ্টি (Sweets) বাজারজাত করা হবে। ক্ষীর পেঁড়া, আসল কাজু ও দুধের সংমিশ্রণে তৈরি বিশেষ পেঁড়া তো থাকছেই। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষদের জন্য রাখা হচ্ছে সুগার-ফ্রি পেঁড়াও। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাসিন্দারা ইছামতীর স্টল থেকেই এই মিষ্টি কিনতে পারবেন। পাশাপাশি, মাদার ডেয়ারির মাধ্যমে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানো হবে পেঁড়া। এখানেই শেষ নয়, শীত কাটলে বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানির আদলে ‘ফ্লেভার মিল্ক’ আনার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় বিভিন্ন দুগ্ধ উৎপাদক সমবায় সমিতির মাধ্যমে দুধ সংগ্রহ করছে ইছামতী মিল্ক ইউনিয়ন। যার বড় অংশ মাদার ডেয়ারিতে পাঠানো হয়। বাকি দুধ থেকে লস্যি, পেঁড়া, ঘি ও পনির তৈরি করে এই মিল্ক ইউনিয়ন। বাজারে ইছামতীর পেঁড়ার চাহিদা বিপুল। সেকথা মাথায় রেখে তিন ধরনের পেঁড়া তৈরির পরিকল্পনা।

বাজার বিশেষজ্ঞদের দাবি, ইছামতীর ঘি ও পনির বাজার চলতি যে কোনও বহুজাতিক সংস্থাকে টেক্কা দিতে পারে। কিন্তু সঠিকভাবে ব্র্যান্ডিং এবং মার্কেটিং পলিসির কারণে এখনও সেইভাবে বাজার ধরতে পারেনি তারা। সেই কারণেই এবার এই সমবায় নিয়ে বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে প্রশাসন। বিভিন্ন পঞ্চায়েত অফিস, পুরসভায় স্টল বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। জোগান বাড়াতে বসানো হয়েছে নতুন স্বয়ংক্রিয় মেশিনও। ইউনিয়ন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে সংস্থার কর্মীরা হাত দিয়ে পেঁড়া বানাতেন। সেভাবে দিনে সর্বাধিক তিন হাজার পিস তৈরি সম্ভব হত। স্বয়ংক্রিয় মেশিনে প্রতি ঘণ্টায় ছ’হাজার পেঁড়া তৈরি হবে। ফলে উৎপাদন খরচ কমবে। পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতিতে বিষয়টি স্বাস্থ্যসম্মতও হবে। তবে বাজার ধরতে পেঁড়ার দাম কত রাখা হবে, তা খোলসা করতে চাননি আধিকারিকরা।

উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক তথা এই সমবায়ের স্পেশাল অফিসার সুমিত গুপ্ত বলেন, ইছামতী মিল্ক ইউনিয়ন আর্থিকভাবে সাবলম্বী হলে গ্রামীণ অর্থনীতি আরও মজবুত হবে। কারণ, এই মিল্ক ইউনিয়নের সঙ্গে কয়েক হাজার মহিলা সদস্য জড়িয়ে রয়েছেন। নানান দুগ্ধজাত সামগ্রী উৎপাদন ও বাজারজাত করা হলে সংস্থার আর্থিক ভিত মজবুত হবে। শুধু তাই নয়, সাধারণ মানুষও ন্যায্য দামে সঠিক জিনিস পাবেন। আশা করছি ইছামতীর নতুন পেঁড়া বাজারে জনপ্রিয় হবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen