‘নেক্সট জেনারেশন জিএসটি’ চলবে, কিন্তু ক্ষতিপূরণ চাই – কেন্দ্রের কাছে সাফ বার্তা বিরোধী রাজ্যগুলির
কেন্দ্রের প্রস্তাবিত ‘নেক্সট জেনারেশন জিএসটি’ কাঠামো ঘিরে ফের সরগরম রাজনীতি।
Authored By:

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২১:১০: কেন্দ্রের প্রস্তাবিত ‘নেক্সট জেনারেশন জিএসটি’ কাঠামো ঘিরে ফের সরগরম রাজনীতি। করের হার কমানোর পরিকল্পনায় আপত্তি নেই বিরোধী রাজ্যগুলির, তবে রাজস্ব ক্ষতির সম্ভাবনা মাথায় রেখে তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে-ক্ষতিপূরণের দায়িত্ব নিতে হবে কেন্দ্রকেই।
বুধবার অনুষ্ঠিত জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে (GST Council meet) বিরোধী রাজ্যগুলি কেন্দ্রের কাছে দাবি তোলে, কর কাঠামোয় পরিবর্তন আনলে রাজ্যগুলির আয় কমবে, তাই সেই ক্ষতি পূরণে কেন্দ্রকে এগিয়ে আসতে হবে। সূত্রের খবর, এই উদ্বেগে একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্যও সহমত পোষণ করেছে।
স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) ঘোষণা করেন, দীপাবলিতে দেশের জন্য আসছে ‘নেক্সট জেনারেশন জিএসটি’। এই কাঠামোয় করের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো হবে। বর্তমানে জিএসটির পাঁচটি স্ল্যাব রয়েছে – ০%, ৫%, ১২%, ১৮% ও ২৮%। সরকার ১২% স্ল্যাব তুলে দিয়ে সংশ্লিষ্ট পণ্য ও পরিষেবাগুলিকে ৫% ও ১৮% শ্রেণিতে ভাগ করার কথা ভাবছে।
বিরোধী রাজ্যগুলির (opposition states) মতে, এই পরিবর্তন কার্যকর হলে রাজ্যগুলির রাজস্বে বড় ধাক্কা আসবে। গত মাসে বাংলার নেতৃত্বে বিরোধী রাজ্যগুলির অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকে ঠিক হয়, কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়িয়ে ক্ষতিপূরণের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
এদিন বৈঠকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তোলে রাজ্যগুলি – এই নতুন কাঠামো সাধারণ মানুষের উপকারে আসবে তো? তাঁদের বক্তব্য, কর কমিয়ে যদি শুধু ব্যবসায়ীদের লাভ হয়, আর সাধারণ নাগরিকের কাছে সুবিধা না পৌঁছায়, তাহলে এই পরিবর্তনের উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে। কেন্দ্রকে সেই নিশ্চয়তা দিতে হবে।
জিএসটি কাঠামোয় পরিবর্তন নিয়ে রাজনৈতিক সমীকরণ যেমন জটিল হচ্ছে, তেমনই অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষার দাবিও জোরালো হচ্ছে। দীপাবলির আগে ‘নেক্সট জেনারেশন জিএসটি’ (Next Generation GST) নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে নজর রাখছে গোটা দেশ।