NISAR: ISRO-NASA-র যুগ্ম মহাকাশ অভিযান, শীঘ্র উৎক্ষেপিত হবে নিসার উপগ্রহ

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১২:০০: ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো (ISRO) এবং মার্কিন সংস্থা নাসা (NASA) প্রথমবার যৌথভাবে তৈরি করেছে পৃথিবী পর্যবেক্ষণের এক অত্যাধুনিক উপগ্রহ – NISAR (NASA-ISRO Synthetic Aperture Radar)। আগামী ৩০শে জুলাই বিকেল ৫:৪০-এ এই উপগ্রহটি উৎক্ষেপিত হবে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধবন স্পেস সেন্টার (Satish Dhawan Space Centre) থেকে।
উৎক্ষেপণে ব্যবহার করা হবে ভারতের নিজস্ব শক্তিশালী রকেট GSLV-F16, যা উপগ্রহটিকে পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন করবে। এটি ৭৪৩ কিলোমিটার উচ্চতায় সূর্যের সমান্তরাল অর্বিটে প্রবেশ করবে, যার ঢাল হবে ৯৮.৪ ডিগ্রি। এই কক্ষপথ এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে উপগ্রহটি একই আলো-ছায়ার কোণে পৃথিবী পর্যবেক্ষণ করতে পারে।
NISAR উপগ্রহের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল, এটি ১২ দিনের মধ্যে পুরো পৃথিবীর মানচিত্র মেপে নিতে সক্ষম এবং পৃথিবীর পরিবেশে সময়ের সাথে কী কী পরিবর্তন ঘটছে তা ধারাবাহিকভাবে রেকর্ড করতে পারবে। এটি একসঙ্গে স্থানের (spatial) এবং সময়ের (temporal) ভিত্তিতে তথ্য সরবরাহ করবে, যা আগামীর বিজ্ঞান গবেষণার ক্ষেত্রে এক বিশাল মাইলফলক।
এই উপগ্রহের প্রধান কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে পৃথিবীর ইকোসিস্টেমের অবস্থা বিশ্লেষণ, বরফের পরিমাণ ও হিমবাহ গলনের হার মাপা, ভেজিটেশন বায়োমাস পরিমাপ, সমুদ্রের স্তর বৃদ্ধি বোঝা এবং মাটির নিচের জলের স্তরের পরিবর্তন মাপা। এছাড়াও, এটি ভূমিকম্প, সুনামি, আগ্নেয়গিরির উদগীরণ, এবং ভূমিধসের মত প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্পর্কে পূর্বাভাস দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
ইসরো জানিয়েছে, উৎক্ষেপণের পর প্রথম ৯০ দিন উপগ্রহটি থাকবে কমিশনিং ফেজে, যা ইন-অর্বিট চেকআউট (IOC) নামেও পরিচিত। এই সময় উপগ্রহের সমস্ত যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তির কার্যকারিতা পরীক্ষা করে নেওয়া হবে।
এই যুগ্ম অভিযান ভারত ও আমেরিকার মহাকাশ গবেষণায় কৌশলগত সহযোগিতার এক নতুন অধ্যায় রচনা করছে।