ফ্রিজার নেই, পচে গেল পাঁচ বঙ্গবাসীর মৃতদেহ! BJP শাসিত ছত্তিশগড়ের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চরম অব্যবস্থা

October 8, 2025 | 2 min read
Published by: Ritam

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২২:১১: পথদুর্ঘটনায় নিহত পাঁচ বাঙালির দেহ ২৪ ঘণ্টা ধরে স্ট্রেচারে পড়ে থাকায় পচন ধরেছে। কারণ হিসেবে জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ছিল না পর্যাপ্ত ফ্রিজার। এই ঘটনায় রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিয়ে তীব্র প্রশ্ন তুলেছেন মৃতদের পরিবার ও শিক্ষক মহল।

 

হুগলির ডানকুনি এলাকার এক স্কুলের শিক্ষিকা ও তাঁদের পরিবার পুজোর ছুটিতে বেড়াতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। মধ্যপ্রদেশের কান্হা জাতীয় উদ্যান ঘুরে ছত্তিশগড়ে র দিকে যাওয়ার পথে বিলাসপুর স্টেশনের কাছে তাঁদের এসইউভি গাড়ির সঙ্গে একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দু’জনের, পরে হাসপাতালে প্রাণ হারান আরও তিনজন। আহত পাঁচজনের চিকিৎসা চলছে রায়পুর ও হরাইজনের বিভিন্ন হাসপাতালে।

 

দুর্ভাগ্যজনকভাবে, বদলা কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে ফ্রিজার না থাকায় মৃতদেহগুলি স্ট্রেচারে ফেলে রাখা হয়। পরে একটি ফ্রিজার পাওয়া গেলে শুধু গাড়িচালকের দেহ সংরক্ষিত হয়, বাকিরা পড়ে থাকেন খোলা জায়গায়। দীর্ঘ সময় পড়ে থাকার ফলে দু’টি দেহে এতটাই পচন ধরে যায় যে কলকাতায় ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি। শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় ছত্তিশগড়েই।

 

মৃতদের মধ্যে রয়েছেন অন্বেষা সোম (গড়িয়াহাট), পরমা ভট্টাচার্য ও তাঁর মেয়ে অদ্রিজা (কোচবিহার), পপি বর্মা (কল্যাণী) এবং গাড়িচালক। আহতদের মধ্যে রয়েছেন পরমার বড় মেয়ে, মুনমুন বাগ ও তাঁর ছেলে অর্ণদ্বীপ দাস।

 

এই ঘটনায় হুগলির শিক্ষক সমাজের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তাঁদের মতে, ফ্রিজ়ারের অভাবে মৃতদেহগুলি বাইরে স্ট্রেচারে ফেলে রাখা হয়েছিল, যার ফলে দেহে পচন ধরে এবং দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে ওঠে যে, বাধ্য হয়ে পরিবারের সদস্যেরা দু’জনের দেহ ছত্তীসগঢ়েই দাহ করেন। শিক্ষক সমাজের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, এমন অব্যবস্থার নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। তবে জনবহুল এলাকায় কেন পর্যাপ্ত ফ্রিজার ছিল না, সেই প্রশ্নের উত্তর মেলেনি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen