নোবেল মেলেনি, তবুও সমস্যা নেই—ফুটবলই দিল ট্রাম্পকে ফিফা পিস প্রাইজ

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৪:১৫: আন্তর্জাতিক ফুটবলের মঞ্চে এবার চমকপ্রদ ঘোষণা। নোবেল না পেলেও ‘শান্তির দূত’ উপাধি এবার জুটল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। ওয়াশিংটন ডিসির কেনেডি সেন্টারে যখন ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের ড্র চলছিল, ঠিক সেই সময়েই ঘোষণা করা হয় নবপ্রবর্তিত ‘ফিফা পিস প্রাইজ’। আর তার প্রথম প্রাপক হয়েছেন ট্রাম্প। খবরটি সামনে আসে নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে।
অনেকের মতে, গত কয়েক বছরে ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো এবং ট্রাম্পের সম্পর্ক ক্রমেই ঘনিষ্ঠ হয়েছে। ফুটবলের বাইরেও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইভেন্টে দু’জনকে একসঙ্গে দেখা গেছে। বিশেষত আমেরিকা–কানাডা–মেক্সিকোকে যৌথ আয়োজক ঘোষণা করার পর সেই সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে বলে ধারণা।
যদিও ফিফার নীতিমালা রাজনৈতিক নিরপেক্ষতার কথা বলে, তবুও ইনফান্তিনোর প্রকাশ্যে ট্রাম্পকে সমর্থন করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ফিফা–র প্রাক্তন গর্ভন্যান্স প্রধান মিগুয়েল মাদুরো। তাঁর মতে, এটি নীতিবিরোধী।
তবে ফিফার অবস্থান স্পষ্ট—বিশ্বকাপ নির্বিঘ্ন আয়োজনের জন্য মার্কিন প্রশাসনের সহযোগিতা অপরিহার্য। কারণ ১০৪টি ম্যাচের বেশিরভাগই যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হবে। তাই নিরাপত্তা থেকে শুরু করে পরিবহণ ও অবকাঠামো—সব ক্ষেত্রেই সরকারের সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন।
আলাদাভাবে এই অনুষ্ঠানে বিতর্কের ছাপও রয়েছে। কেনেডি সেন্টারের প্রশাসনে হস্তক্ষেপ, ফিফাকে সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ—সব মিলিয়ে ট্রাম্পকে ঘিরে আলোচনা তুঙ্গে। যদিও কেনেডি সেন্টার জানিয়েছে, ফিফা স্পনসরশিপ হিসেবে দিচ্ছে ৫ মিলিয়ন ডলার এবং অতিরিক্ত ২.৪ মিলিয়ন ডলার অনুদান।
সবশেষে বলা যায়, ফুটবলের ভাষা সবসময় ঐক্য ও শান্তির। আর সেই ব্যানারের নীচে প্রথম মুখ হয়ে উঠলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প—নোবেল নয়, তবুও ফুটবলের ‘শান্তি সম্মানের’ নতুন অধ্যায় তাঁর হাত ধরেই শুরু।