‘সংবিধানের উপরে কেউ নয়, না সরকার, না দেশের বিচারব্যবস্থা’, দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানালেন প্রধান বিচারপতি

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি, ১৫:০০: সুপ্রিম কোর্টের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সেই আবহে রবিবার তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত দেশের প্রধান বিচারপতি ভূষণ রামকৃষ্ণ গবই। সাফ জানালেন, সংবিধানের উপরে কেউ নয়। না সরকার, না দেশের বিচারব্যবস্থা। অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি বলেন, “বিচার বিভাগ, না সংসদ, না নির্বাহী বিভাগ, সর্বোচ্চ স্থানে কে রয়েছে? যদি এই প্রশ্ন করা হয়, তবে আমি বলব শুধুমাত্র দেশের সংবিধানই সকলের উপরে রয়েছে।”
প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর রবিবারই প্রথম নিজ রাজ্য মহারাষ্ট্রে পা রাখেন প্রধান বিচারপতি। তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়ার আয়োজন করেছিল মহারাষ্ট্র ও গোয়া বার কাউন্সিল। সেই অনুষ্ঠানে গরহাজির ছিলেন মহারাষ্ট্রের তিন শীর্ষ আধিকারিক মুখ্যসচিব, পুলিশের ডিজি ও মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনার।
বিষয়টি একেবারেই ভালভাবে নেননি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। উষ্মা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “গণতন্ত্রের তিনটি স্তম্ভ—বিচারব্যবস্থা, আইনসভা এবং কার্যনির্বাহী সমান। প্রতিটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে অন্য প্রতিষ্ঠানের প্রতি পারস্পরিক সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে হবে। মহারাষ্ট্রের একজন ব্যক্তি ভারতের প্রধান বিচারপতি হয়েছেন এবং প্রথমবার মহারাষ্ট্র সফরে এসেছেন, অথচ মহারাষ্ট্রের মুখ্যসচিব, পুলিশ মহাপরিচালক বা মুম্বই পুলিশ কমিশনার উপস্থিত থাকার প্রয়োজন মনে করেননি, এই বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে।” আরও বলেন, “প্রোটোকল কোনও নতুন কিছু নয়, এটি একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের আরেকটির প্রতি শ্রদ্ধার প্রশ্ন। যদি বিচারপতিরা প্রোটোকল ভঙ্গ করতেন, তাহলে আর্টিকল ১৪২ নিয়ে আলোচনা শুরু হত, যা সুপ্রিম কোর্টকে বিশেষ ক্ষমতা প্রদান করে থাকে।” তিনি মনে করিয়ে দেন, গণতন্ত্রের তিনটি স্তম্ভই সমান।
এরপর বাবাসাহেব আম্বেদকরের স্মৃতিসৌধ চৈত্য ভূমি পরিদর্শন করেন তিনি।
তখন মহারাষ্ট্রের মুখ্য সচিব সুজাতা সাউনিক, পুলিশ মহাপরিচালক রশ্মি শুক্লা এবং মুম্বই পুলিশ কমিশনার দেবেন ভারতী উপস্থিত ছিলেন।