নোবেল শান্তি পুরস্কারের তথ্য ফাঁসের পেছনে গুপ্তচরবৃত্তির আশঙ্কা, তদন্তে নোবেল ইনস্টিটিউট

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১১:৫৬: নোবেল শান্তি পুরস্কারের (Nobel Peace Prize) ঘোষণা ঘিরে বড়সড় বিতর্ক তৈরি হয়েছে, কারণ নরওয়ের নোবেল ইনস্টিটিউটের ধারণা, এই বছর পুরস্কার ঘোষণার আগেই তথ্য ফাঁসের পেছনে গুপ্তচরবৃত্তির ভূমিকা থাকতে পারে। সংস্থার পরিচালক ও নোবেল কমিটির সচিব ক্রিস্টিয়ান বার্গ হার্পভিকেন জানিয়েছেন, “খুব সম্ভবত এটি একেবারে স্পষ্ট গুপ্তচরবৃত্তির ঘটনা।”
নরওয়ের টেলিভিশন চ্যানেল টিভি-২কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হার্পভিকেন বলেন, ইনস্টিটিউট বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছে এবং প্রয়োজনে আরও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও জানান, নোবেল শান্তি পুরস্কার নির্বাচনের প্রক্রিয়া বিশ্বের সবচেয়ে গোপনীয় পদ্ধতিগুলির মধ্যে একটি, যেখানে মাত্র কয়েকজন নির্বাচিত ব্যক্তিই আগেভাগে সিদ্ধান্তের সম্পর্কে জানেন।
এই বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদো (Maria Corina Machado)। কিন্তু ঘোষণার ঠিক কয়েক ঘণ্টা আগেই তাঁর নাম ফাঁস হয়ে যায় বলে দাবি করেছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।
ফাঁসের ইঙ্গিত প্রথম ধরা পড়ে অনলাইন বেটিং প্ল্যাটফর্ম পলিমার্কেটে (Polymarket)। সংবাদ সংস্থা এএফপি (AFP) জানিয়েছে, মাচাদোর জয়ের সম্ভাবনা রাতারাতি ৩.৭৫ শতাংশ থেকে বেড়ে গিয়ে প্রায় ৭৩ শতাংশে পৌঁছে যায়। এই অস্বাভাবিক উত্থানকেই তদন্তকারীরা এখন সম্ভাব্য তথ্য ফাঁসের প্রমাণ হিসেবে দেখছেন।
যদিও অতীতে নোবেল পুরস্কারের আগে এমন কিছু গুজব বা অনুমান শোনা গিয়েছিল, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই ধরণের ফাঁসের ঘটনা কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তাই এই বছরের এই গুপ্তচরবৃত্তির আশঙ্কা নোবেল কমিটির উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে।
ওসলোতে নোবেল কমিটি এখন খতিয়ে দেখছে, কীভাবে এই গোপন তথ্য বাইরে ছড়িয়ে পড়ল এবং কে বা কারা এর সঙ্গে যুক্ত।