কেবল ফুটবল নয়, নির্বাসনের মুখে পড়তে পারে আইওএ, হকি এবং টেবিল টেনিস সংস্থাও?

জাতীয় ক্রীড়ানীতি অনুযায়ী, ক্রীড়া সংস্থাগুলিকে সংবিধান তৈরি করতে হবে।

August 17, 2022 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের কারণে ১৬ আগস্ট এআইএফএফ-কে নির্বাসিত করেছে ফিফা। কেবল ফুটবলই নয়, দেশের আরও তিনটি ক্রীড়া নিয়ামক সংস্থার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ভারতীয় অলিম্পিক্স সংস্থা, হকি ও টেবিল টেনিস সংস্থাকেও নির্বাসিত করা হতে পারে বলে খবর। তিনটি সংস্থার ক্ষেত্রেই একই সমস্যা, তিনটি সংস্থাই সিওএ-এর অধীনে।

জাতীয় ক্রীড়ানীতি অনুযায়ী, ক্রীড়া সংস্থাগুলিকে সংবিধান তৈরি করতে হবে। প্রায় সব সংস্থাগুলোতেই দীর্ঘ দিন কেউ নির্বাচন হয়নি। সংস্থাগুলিতে কেউ না কেউ ক্ষমতা দখল করে বসে রয়েছে। প্রসঙ্গত, হকি ইন্ডিয়ার সভাপতি ছিলেন নরিন্দর বাত্রা সম্প্রতি পদত্যাগ করেছেন। আন্তর্জাতিক হকি সংস্থা এফআইএইচ থেকেও পদত্যাগ করেছেন। হকি ইন্ডিয়াতে ছড়ি ঘোরাচ্ছে সিওএ। হকি সংস্থার সমস্যা আরও বেশি, আগামি বছর ভারতেই হকি বিশ্বকাপ হওয়ার কথা রয়েছে। তার প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। এফআইএইচ যদি হকি ইন্ডিয়াকে নির্বাসিত করে, সেক্ষেত্রে ভারতে আর বিশ্বকাপ হবে না এবং ভারতও বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।

টেবিল টেনিসের একই হাল। দিল্লি হাইকোর্টের রায়ে সেখানেও সিওএ বসানো হয়েছে। সেই সিওএ-ও নানান বিতর্কে জড়িয়েছে। অন্যদিকে, ১৬ আগস্টই ভারতীয় অলিম্পিক্স সংস্থার প্রশাসন চালানোর জন্য তিন সদস্যের সিওএ নিয়োগ করেছে দিল্লি হাইকোর্ট। আইওএ-কে যদি নির্বাসিত করা হলে, ভারতের ক্রীড়াবিদরা সমস্যায় পড়বেন। অলিম্পিক্স তো রয়েইছে, সেই সঙ্গে আইওএ-র অধীনে যে-কটি ক্রীড়া সংস্থা রয়েছে, তাদের কোন ক্রীড়াবিদই কোন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন না। ফলে অসংখ্য ক্রীড়াবিদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে। দেশের বেশির ভাগ ক্রীড়াক্ষেত্রেই সমস্যা রয়েছে। আদালতের হস্তক্ষেপ ও ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার প্রবণতা দেশের সব খেলাতেই রয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen