খুচরোর ঝামেলা! এবার বেসরকারি বাসেও UPI
ATM থেকে ১০০ টাকার নোট পাওয়া মানে হাতে চাঁদ পাওয়া।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ATM থেকে ১০০ টাকার নোট পাওয়া মানে হাতে চাঁদ পাওয়া। কিন্তু সেই চাঁদ পাওয়া ভাগ্য থাকলেও মুখঝামটা খেতে হয় বাস কন্ডাক্টরের কাছে। তবে হয়তো এই মুখঝামটার দিন শেষ হতে চলেছে।
বেশ কিছু বেসরকারি বাস কিউআর কোডের ব্যবস্থা করেছে যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে। চাইলে তা স্ক্যান করে বাসের ভাড়া মেটাতে পারবেন যাত্রীরা। অর্থাৎ খুচরো নিয়ে ঝামেলার দিন এখন অতীত। স্মার্ট ফোন থাকলে ভাড়া মেটাতে কোনও সমস্যাই হবে না আর। আপাতত বারাসত-বি গার্ডেন বাস রুটে এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে।
এমনিতেই বাজারে দশ টাকার নোট অমিল, যেগুলো হাতে হাতে ঘুরছে সেগুলোর অবস্থা ছেঁড়াফাটা। বাজারে, দোকানে, বাসে এ নিয়ে রোজ কথা কাটাকাটি থেকে হাতাহাতি নিত্যদিনের ব্যাপার। বাস কন্ডাক্টরদের বক্তব্য অনুযায়ী বহু যাত্রী ভাড়া দেওয়ার সময় ছেঁড়াফাটা নোট দেন। আবার যাত্রীদের মতে কন্ডাক্টরদের গছিয়ে দেওয়া ছেঁড়া নোট সর্বত্র অচল।
এখন সব্জির দোকান থেকে শপিং মল, মুদিখানা থেকে সেলুন, ক্যাফে থেকে পাড়ার চায়ের দোকান পর্যন্ত অনলাইনে বিল মেটানোর ব্যবস্থা রেখেছে। কিন্তু বেসরকারি বাসের ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা চালু ছিল না এতদিন। হাওড়ায় এই প্রথমবার বেসরকারি বাস রুটের ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা চালু হল। এর ফলে খুচরো নিয়ে টানাটানি মিটবে বলে আশা করছেন বাস মালিকরা। পাশাপাশি দিনের শেষে প্রতি ট্রিপের পর কত টাকার টিকিট বিক্রি হল সেই হিসেবে স্বচ্ছতা আসবে।
বিধাননগর, কলকাতা, নবান্ন সহ হাওড়ার গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পৌঁছতে নিত্যযাত্রীদের বড় ভরসা বারাসাত-বি গার্ডেন বাসরুট। নিমেষে এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে পৌঁছানোয় এই বাসের একই সাথে সুনাম এবং দুর্নাম রয়েছে। দ্রুততায় ফ্ল্যাশের সাথে টক্কর দেওয়া বারাসাত-বি গার্ডেন বাস যে নিমেষে কন্ডাক্টর-যাত্রীদের চিরাচরিত যুদ্ধে ইতি টেনে দেবে সেটা আর কে ভেবেছিল।