মঙ্গলবার কোচবিহারের ১৯ জায়গায় NRC বিরোধী আন্দোলন তৃণমূলের
তৃণমূল অপেক্ষায় ছিল, বিজেপি কবে ওই কর্মসূচি ঘোষণা করে। তৃণমূলের বক্তব্য, বিজেপি যেদিন কর্মসূচি নেবে, সেদিনই তারা পাল্টা কর্মসূচি গ্রহণ করবে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৪:৪৫: বছর ঘুরলেই বঙ্গে ভোট, তার আগে এক সূচের ডগার মাটিও বিজেপিকে ছাড়তে রাজি নয় তৃণমূল। বিজেপির কর্মসূচির দিনই মানুষের অধিকার রক্ষায় পাল্টা ময়দানে নামছে তৃণমূল।
আগামী ৫ আগস্ট, মঙ্গলবার কোচবিহারে বিজেপির বিধায়কদের আসার দিনই NRC বিরোধী আন্দোলনে নামছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই তৃণমূল ঘোষণা করেছে, জেলার ১৯টি জায়গায় ৫ আগস্টএনআরসি বিরোধী অবস্থান আন্দোলন করবে দল। দিন কয়েক আগে ঘোকসাডাঙায় বিজেপি বিধায়কের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনার পর ৬৫ জন পদ্ম বিধায়ক নিয়ে এসে সভা করার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল বিজেপির তরফে। তৃণমূল অপেক্ষায় ছিল, বিজেপি কবে ওই কর্মসূচি ঘোষণা করে। তৃণমূলের বক্তব্য, বিজেপি যেদিন কর্মসূচি নেবে, সেদিনই তারা পাল্টা কর্মসূচি গ্রহণ করবে।
জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, বিভিন্ন জায়গায় বাঙালিদের হেনস্তা করা হচ্ছে। অসম সরকার ষড়যন্ত্র করে মানুষের মনে ভয় তৈরি করছে। অবৈধভাবে এনআরসি নোটিস পাওয়া পরিবারগুলির পাশে আছি। উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গের অনেকেই অসম সরকারের এনআরসির নোটিশ পাচ্ছেন।
তৃণমূল নেতারা জানিয়েছেন, ৫ আগস্ট ১৯টি জায়গায় অবস্থান-বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালিত হবে। কোচবিহারের বাবুরহাট, ঘুঘুমারি, মাথাভাঙা, সিতাই, চ্যাংরাবান্ধা, তুফানগঞ্জ, ভেটাগুড়ি সহ বহু জায়গায় সভা হবে। দুপুর দু’টো পর্যন্ত সভাগুলি হবে। তৃণমূলের দাবি, কোচবিহারে একাধিক জায়গায় তৃণমূলের কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থক জমায়েত করবেন।
প্রশ্ন উঠছে, একই দিনে বিজেপি বিধায়কদের জেলায় আসা ও তৃণমূলের কর্মসূচিকে ঘিরে কোনও অশান্তি হবে না তো? তৃণমূলের মতে, অশান্তির কোনও প্রশ্নই নেই। বিক্ষোভ কর্মসূচির অনুমতির জন্য তারা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানাবেন। নাহলে আদালতের দ্বারস্থ হবেন। উত্তরের মাটিতে বিজেপির
জমি ক্রমেই আলগা হচ্ছে। ভোটবাক্সে সে ইঙ্গিত মিলেছে। আগামী বছর ভোট, বিজেপি গড় রক্ষায় মরিয়া। তৃণমূল এখন থেকেই পাল্টা কর্মসূচি নিয়ে প্রমাণ করে দিচ্ছে উত্তরবঙ্গের মাটিতে জোর টক্কর হবে।