নদিয়ায় জনসঙ্ঘের হয়ে প্রার্থী হচ্ছেন বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতারা

সর্ব ভারতীয় জনসঙ্ঘ নেতৃত্বদেরও দাবি, তারা যদি হাজারটি ভোট পান, তার ছয়শোটি আসবে বিজেপির থেকে। তাই স্বাভাবিকভাবেই এই দল প্রার্থী দেওয়াতে খুশি তৃণমূল

March 30, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

কল্যাণী: কল্যাণী, হরিণঘাটা, চাকদহ সহ জেলার সব কেন্দ্রে এবার প্রার্থী দিচ্ছে সর্ব ভারতীয় জনসঙ্ঘ (Bharatiya Jana Sangh)। এঁদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতা। ‌দলের প্রার্থী পছন্দ না-হওয়ায় বিজেপি ছেড়ে সর্ব ভারতীয় জনসঙ্ঘের হয়ে তাঁরা মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছেন। সোমবার জেলার একাধিক কেন্দ্রে মনোনয়নপত্র জমা করে দিয়েছেন সর্বভারতীয় জনসঙ্ঘের প্রার্থীরা। তৃণমূলের দাবি, এই দল বিজেপির হিন্দু ভোট কাটবে। জোড়াফুল শিবিরের আশা, আখেরে তাদেরই লাভ হবে। আর সর্ব ভারতীয় জনসঙ্ঘ নেতৃত্বদেরও দাবি, তারা যদি হাজারটি ভোট পান, তার ছয়শোটি আসবে বিজেপির থেকে। তাই স্বাভাবিকভাবেই এই দল প্রার্থী দেওয়াতে খুশি তৃণমূল (Trinamool)।

এবিষয়ে জনসঙ্ঘের রাজ্য সভাপতি সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে বিজেপি যে নোংরামি করছে সেটা বন্ধ হওয়া দরকার। তাঁর আরও অভিযোগ, সঙ্ঘ পরিবার আজ নদীর কিনারায় এসে দাঁড়িয়েছে। তাই বিজেপির বহু মানুষ আমাদের দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। আমরা নদীয়া জেলার প্রত্যেকটি কেন্দ্র সহ রাজ্যে অন্তত দু’শোটি আসনে প্রার্থী দিচ্ছি। অন্যান্য দল থেকেও বহু মানুষ আমাদের দলে আসতে চাইছেন। আমরা আমাদের রাস্তায় এগিয়ে যাচ্ছি। এতে যদি তৃণমূল মনে করে তাদের সুবিধা হবে তবে তারা তাদের সুবিধা ভোগ করবে। আর যদি বিজেপি মনে করে তাদের অসুবিধা হবে তবে তারা তাদের অসুবিধা ভোগ করবে।

১৯৭৭ সালে এই রাজনৈতিক দলটি ভেঙে দেওয়া হয়। এরপর তারা ফের ২০২১ সালের ৮ জানুয়ারি নতুন রেজিস্ট্রেশন নিয়ে ভোটের ময়দানে নেমেছেন। বিজেপি যে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে তাদের রাজনৈতিক গুরু মেনে নিয়মিত প্রচার করছে, তাঁরই প্রতিষ্ঠিত দল জনসঙ্ঘ বাংলায় নতুনভাবে আত্মপ্রকাশ করায় কিছুটা হলেও চাপে মোদির দল। নতুন এই দলে নদীয়া জেলার মোট ১৭টি বিধানসভা এলাকায় যাঁদেরকে প্রার্থী করা হচ্ছে তাঁরা হলেন চাকদহ থেকে শুভময় ঘোষ, কল্যাণী থেকে বিপুল ব্যাপারি, হরিণঘাটা থেকে সঞ্জিত বিড়া অথবা বি বি রায়, করিমপুর থেকে গণেশ সরকার, তেহট্ট থেকে সুজিত পাল, পলাশিপাড়া থেকে নির্মল ঘোষ, কালীগঞ্জ থেকে তুষারকান্তি পালিত, নাকাশিপাড়া থেকে তন্ময় ঘোষ, কৃষ্ণনগর দক্ষিণ থেকে রতন ঘোষ, কৃষ্ণনগর উত্তর থেকে লঙ্কেশ দাস, চাপড়া থেকে প্রভাত ঘোষ, শান্তিপুর থেকে সুফল সরকার, নবদ্বীপ থেকে সৌমেন সাহা, রানাঘাট উত্তর পশ্চিম থেকে আর এন বিশ্বাস, রানাঘাট উত্তর পূর্ব থেকে যুথিকা গায়েন, কৃষ্ণগঞ্জ থেকে মানিক সরকার। এছাড়া রানাঘাট দক্ষিণ কেন্দ্রের প্রার্থীর নামও শিগগির জানাবে তারা। রানাঘাটের সাংসদ তথা শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার বলেন, ওদের হয়ে যাঁরা ভোটে দাঁড়িয়েছেন তাঁদের কেউ কেউ আমাদের দলের সাধারণ কর্মীও ছিলেন না। এঁরা আমাদের দলের কোনও ক্ষতি কিংবা তৃণমূলের জন্য কোনও লাভ করতে পারবেন না।

অন্যদিকে, নদীয়া জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র বাণীকুমার রায় বলেন, ওঁদের ভোট কাটাকাটিকে আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছি না। আমাদের কাছে প্রধান বিবেচ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দশ বছরের উন্নয়ন। মানুষ সেটা দেখেই ভোট দেবেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen