স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে ক্যান্সারের চিকিৎসা বৃদ্ধার

স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে তাঁরা কলকাতায় চিকিৎসা করাতে পারবেন।

January 22, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi
ছবি : প্রতীকী

 ক্যান্সারে(Cancer) আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে স্বামীর। বছর খানেক আগে একই রোগে আক্রান্ত বড় মেয়েকেও হারিয়েছেন। এবার নিজে আক্রান্ত হয়েছেন ক্যান্সারে। প্যানক্রিয়াসে ক্যান্সার। একথা শুনেই আরামবাগের বসন্তপুরের(Basantapur) বাসিন্দা শান্তিরানি কুণ্ডুর(Shantirani Kundu) পরিবারের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। কীভাবে তাঁর চিকিৎসা করাবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না পরিবারের লোকজন। তাঁদের আশা জুগিয়েছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড(SwasthyaSathi Card)। এই কার্ড নিয়েই আজ, শুক্রবার কলকাতার রাজারহাট টাটা মেমোরিয়াল ক্যান্সার হাসপাতালে ভর্তি হবেন শান্তিরানিদেবী। তাঁর ভাইপো মানস কুণ্ডু বলেন, ছ’মাস আগে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করানো হয়েছিল। তার জন্যই এখন বড় হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে পারছি। খুব বড় উপকার হয়েছে আমাদের। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না থাকলে ভালো হাসপাতালে জেঠিমার চিকিৎসা করাতে পারতাম না। আমরা এর জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকব। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তিরানিদেবীর বয়স ৮০ ছুঁইছুঁই। দুই ছেলেকে নিয়ে তিনি বসবাস করেন। ২০১০ সালে তাঁর স্বামী কেনারাম কুণ্ডু ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাঁর বড় মেয়ে বাণী কুণ্ডুও ২০১৯ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। চারমাস আগে শান্তিরানিদেবী হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন। ঘন ঘন বমি ও কোনও কিছু খেতে না পারায় তাঁর পরিবারের লোকজন আরামবাগে ডাক্তার দেখিয়েছিলেন। চিকিৎসক তাঁকে কলকাতায় দেখানোর পরামর্শ দেন। গত মঙ্গলবার শান্তিরানিদেবীকে নিয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যরা কলকাতায় ডাক্তার দেখাতে যান। সেখানে স্ক্যানের পর চিকিৎসক প্যানক্রিয়াসে ক্যান্সারের কথা জানান। এই মারণ রোগের চিকিৎসার জন্য কোথা থেকে টাকা আসবে ভেবে পাচ্ছিলেন না পরিবারের লোকজন। তখনই তাঁদের মনে পড়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের কথা। এরপর পরিবারের সদস্যরা রাজারহাটে টাটা মেমোরিয়াল ক্যান্সার হাসপাতালে যোগাযোগ করেন। সেখানে এই কার্ডের মাধ্যমে চিকিৎসা করানো যাবে বলে জানানো হয়েছে। এতে অনেকটাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন পরিবারের সদস্যরা। আরামবাগ পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান স্বপন নন্দী বলেন, আমার সঙ্গে ওই পরিবারের কথা হয়েছে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে তাঁরা কলকাতায় চিকিৎসা করাতে পারবেন। আমরা ওই পরিবারের পাশে রয়েছি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen