বঙ্গ বিজেপিতে কি ফের ‘আদি’দের গুরুত্ব বাড়ছে?
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে অন্য দল থেকে বিজেপিতে যোগদানের জোয়ার শুরু হয়।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে অন্য দল থেকে বিজেপিতে যোগদানের জোয়ার শুরু হয়। ফলে ক্রমশ কোনঠাসা হয়ে পরতে শুরু করে দলের ‘আদি’রা। দলের বিভিন্ন সেলের মাথায়ও আদিদের সরিয়ে পুরনোদের বসানো হয়। যা নিয়ে দলের অন্দরেই মতোভেদ রয়েছে। এবার কি ফের বঙ্গ বিজেপিতে ‘আদি’দের গুরুত্ব বাড়তে চলেছে?
সোমবারের একটি সিদ্ধান্ত সেরকমই ইঙ্গিত দিল বোধ হয়। এদিন পার্টির কালচারাল সেলের রাজ্য ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পেলেন অভিনেতা সুমন বন্দ্যোপাধ্যায়। সেলের আহ্বায়ক তথা গত বিধানসভা ভোটের বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষের মাথায় বসানো হল সুমনকে। উল্লেখ্য, দিলীপ ঘোষের জমানায় সুমনবাবু পার্টি কালচারাল সেলের আহ্বায়ক ছিলেন। টলিউড এবং টেলিউডের বহু কলাকুশলীদের সেই সময় বিজেপি শিবিরে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন সুমন। কিন্তু বঙ্গ বিজেপিতে দিলীপ ঘোষের নিয়ন্ত্রণ আলগা হতেই সুমনের দাপট কমতে শুরু করে। পার্টির দুর্দিনে দলে যোগ দেওয়া সুমন বিধানসভা ভোট তো দুরস্ত, পুরসভাতেও টিকিট পাননি। ব্যক্তিগত পরিসরে যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বাংলা ধারাবাহিকের অন্যতম এই দাপুটে অভিনেতা।
দু’দিন আগেই রাজভবনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্না মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন বিজেপি নেত্রী রিমঝিম মিত্র। তিনি দিলীপ জমানায় পার্টির কালচারাল সেলের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন। কিন্তু সুকান্ত মজুমদার সভাপতি হওয়ার পর থেকেই দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়। আগামীদিনে রিমঝিমের মতো আরও অনেকেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন। তাই সুমনের মতো ‘আদি’ নেতাকে অপেক্ষাকৃত বড় পদ দিয়ে দলবদল ঠেকাতে চাইছে বিজেপি। আবার অনেকে রসিকতা করে বলছেন, ‘আদি’দের না হয়ে আটকে রাখলেন কিন্তু এবার তো ‘নব্য’রা গোঁসা করে দল ছাড়বেন!