একদিকে ‘জন গণ মন’র অসম্মান, অন্যদিকে ‘বন্দেমাতরম’র সার্ধশতবর্ষ পালন! BJP-র দ্বিচারিতা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১১.২০: স্বাধীনতা সংগ্রামে ঐতিহাসিক ভূমিকা নেওয়া ‘বন্দেমাতরম’কে ১৯৫০ সালের ২৪ জানুয়ারি সংবিধান সভায় ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ জাতীয় সংগীত ‘জন গণ মন’র সমমর্যাদায় ভূষিত করেছিলেন। সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় যে ‘বন্দেমাতরম’ লিখেছিলেন, তার আজ সার্ধশতবর্ষ। আগামী বছর বাংলায় বিধানসভা ভোট। তাই সংস্কৃতি মন্ত্রকের আয়োজনে বন্দেমারতরম গানের সার্ধশতবর্ষ পালন হবে ঘটা করে।
এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে, আর এক বাঙালি এবং আক্ষরিক অর্থে যিনি বিশ্বজনীন, সেই রবি ঠাকুরের ‘জন গণ মন’র অবমাননা দাগ গায়ে লাগলে ভাবাবেগের রাজনীতি ধারালো হবে তো? কারণ, একদিকে শুক্রবার দিল্লিতে ইন্দিরা গান্ধী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রী এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বর্ষব্যাপী বন্দেমাতরম গানের সার্ধশতবর্ষ পালনের সূচনা করবেন। অন্যদিকে, কর্ণাটকের বিজেপি সাংসদ বিশ্বেশ্বর হেগড়ে কাগেরি সরাসরি অবমাননা করলেন জাতীয় সংগীতের। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। দাবি করে বসলেন, রবি ঠাকুর নাকি ব্রিটিশ রাজা পঞ্চম জর্জকে তুষ্ট করার জন্য ওই গান লিখেছিলেন! ‘জন গণ মন’ অবমাননার ভিতের উপর দাঁড়িয়ে বন্দেমাতরম নিয়ে বিজেপির প্রচার রাজনীতিতে জ্বলে উঠেছে কংগ্রেস, তৃণমূল।
বন্দেমাতরম নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রচারপর্ব শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্র। আজ, শুক্রবার প্রকাশ হবে বিশেষ ডাক টিকিট, মুদ্রা। সকাল ১০টায় প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কেন্দ্রীয় সরকারি দপ্তরে সমবেতভাবে গাওয়া হবে ‘বন্দেমাতরম।’ তার মধ্যেই বিজেপি এমপির বেফাঁস মন্তব্য। প্রতিবাদে তৃণমূল সাংসদ সাগরিকা ঘোষের তোপ, ‘বিজেপি যে বাংলা বিরোধী, ভারত বিরোধী হোয়াটসঅ্যাপ ইউনির্ভার্সিটি মানসিকতার জুমলা পার্টি, তা প্রকাশ হয়ে গিয়েছে।’ কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের পুত্র তথা কর্ণাটকের মন্ত্রী প্রিয়াঙ্কও বিশ্বেশ্বর হেগড়েকে এক হাত নিয়েছেন। বলেছেন, ‘ননসেন্স। সংঘের হোয়াটসঅ্যাপ ইতিহাস পড়েই এইসব জেনেছেন হেগড়ে।’