পৌষ সংক্রান্তির প্রাক্কালে কাটোয়ার কোশিগ্রামে পালিত হল মাঠে খাওয়াদাওয়া

বহুদিন ধরে কোশিগ্রামে এই প্রথা চলে আসছে। জনশ্রুতি অনুযায়ী, বহুবছর আগে গ্রামে মারণ রোগ কলেরার প্রকোপ দেখা দিয়েছিল।

January 14, 2025 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: পৌষ সংক্রান্তির একদিন আগে কাটোয়ার কোশিগ্রামের বাসিন্দারা ঘর ছেড়ে প্রাচীন প্রথা মেনে মাঠে খাওয়াদাওয়া করেন। মারণ রোগ ঠেকাতে বহুদিন আগে নাকি এক ফকিরবাবা এমন বিধান দিয়েছিলেন। সেই থেকে নিয়ম চলে আসছে। রবিবার কোশিগ্রামের বাসিন্দারা হাঁড়িকুড়ি, হাতাখুন্তি নিয়ে গ্রামের বাইরে মাঠে এসে রান্না করে খাওয়াদাওয়া করেন। কেউ ডালভাত, কেউ খিচুড়ি-বেগুনভাজা খান, বনভোজনের আনন্দে দিনটি কাটে।

বহুদিন ধরে কোশিগ্রামে এই প্রথা চলে আসছে। জনশ্রুতি অনুযায়ী, বহুবছর আগে গ্রামে মারণ রোগ কলেরার প্রকোপ দেখা দিয়েছিল। নদীয়া জেলার বল্লভপাড়া থেকে এক ফকির কোশিগ্রামের মাঠে এসেছিলেন। কলেরা থেকে রেহাই পেতে গ্রামের লোকজন তাঁর দ্বারস্থ হন। তিনিই নির্দেশ দেন, পৌষ সংক্রান্তির একদিন আগে গ্রামের মানুষ যেন উত্তরদিকের মাঠে এসে রান্নাবান্না করে, একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করেন। আজও এই প্রথা চলে আসছে। ফকিরবাবার বংশধররা এখনও গ্রামে আসেন।

পুজোপাঠের পর মাঠে নিরামিষ ভাত-তরকারি বা খিচুড়ি-মিষ্টি খাওয়া চলে। এই উপলক্ষ্যে গ্রামজুড়ে মেলা বসেছে। ফকিরবাবার আস্তানায় পুজো দেওয়া হয়। কাটোয়া-কেতুগ্রাম সড়কের কোশিগ্রাম বাসস্ট্যান্ডের কাছে, দু’ধারে মাঠে ছোট ছোট তাঁবু খাটিয়ে বহু মানুষ খিচুড়ি রান্না করেন মানুষ। কয়েকটি পরিবার মিলে এক এক জায়গায় রান্নার আয়োজন করে। খাওয়া শুরুর আগে একটি কলাপাতায় খাবার নিয়ে মাঠের এক কোণে পূর্বপুরুষের নামে উৎসর্গ করা হয়। ফকিরবাবার পুজো দিয়ে উৎসব শুরু করেন বাসিন্দারা। যতীনপুর গ্রামের বাসিন্দারাও এই উৎসবে যোগ দেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen