শ্রাবণ মাসের প্রথম রবিবারেই কেন নিমাই তীর্থ ঘাটে নামে পুণ্যার্থীদের ঢল? জেনে নিন

নিমাই তীর্থ ঘাটকে কেন্দ্র করে প্রচলিত আছে নানা ইতিহাস, আবার শ্রীচৈতন্যকে কেন্দ্র করে ছড়িয়ে আছে গল্পকথা।

July 25, 2023 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বৈদ্যবাটি নিমাই তীর্থ ঘাট। ষোড়শ শতাব্দীতে বিপ্রদাস মনসা মঙ্গল কাব্যে এই ঘাটের কথা উল্লেখ করেন। স্বয়ং নিমাই সন্ন্যাসী নাকি এসেছিলেন এই ঘাটে। জনশ্রুতি, তাঁর আগমনের সময় নিমগাছে চাঁপা ফুল ফুটেছিল। তিনি ভদ্রকালী সংলগ্ন এলাকায় একটি মিষ্টির দোকানে মিষ্টি খেয়ে পয়সার বদলে স্বর্ণ বালা দিয়েছিলেন। এই ঘাটে বছরে তিনটি মেলা বসে। পৌষ সংক্রান্তির, বারুনি, মাঘী পূর্ণিমা।

কথিত আছে, সারদা দেবী জয়রামবাটী যাবার সময় বা দক্ষিণেশ্বর যাবার সময় নিমাই তীর্থ ঘাটের থেকে নৌকায় উঠতেন। নিমাই তীর্থ ঘাটকে কেন্দ্র করে প্রচলিত আছে নানা ইতিহাস, আবার শ্রীচৈতন্যকে কেন্দ্র করে ছড়িয়ে আছে গল্পকথা।

শ্রাবণ মাসের প্রথম রবিবার সকাল থেকে বৈদ্যবাটি ঘাট থেকে জল তুলে বাঁকে করে পায়ে ২৭ কিলোমিটার হেঁটে তারকেশ্বরের উদ্দেশে রওনা দেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা হাজার হাজার পূণ্যার্থী। শ্রাবণ মাস উপলক্ষে বৈদ্যবাটি নিমাই তীর্থ ঘাট এবং সংলগ্ন গোটা অঞ্চলে বসে মেলা।

এই মেলায় কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। নিরাপত্তার বিষয় খতিয়ে দেখতে থাকে পুলিশি নজদারী ও সিসিটিভি ক্যামেরা। প্রত্যেক বছর গোটা রাজ্য থেকে প্রায় দশ পনেরো লক্ষ পুণ্যার্থীর সমাগম হয় তারকেশ্বরে। বেশির ভাগ পূণ্যার্থী শনিবার ও বরিবার নিমাইতীর্থ ঘাট থেকে জল নিয়ে রওনা দেন। তাঁরা সোমবার বাবা তারকেশ্বরের মাথায় জল ঢালেন। তাই ঘাট সংলগ্ন এলাকা জুড়ে বসে বাঁক, জলের কলস সহ বিভিন্ন সরঞ্জামের দোকান।

করোনার 2 বছর পর তারকেশ্বরের শ্রাবণী মেলায় জলযাত্রীদের ভিড়

তবে এবছরের বাজারের হাল হকিকত তেমন একটা ভালো ছিল না বলে জানা গেছে ব্যবসায়িক সূত্রে। তুলনামূলকভাবে এবছর ভিড় অনেক কম। কারণ অনেক পূণ্যার্থীরা বাইরে থেকে বাঁক সাজিয়ে নিয়ে আসছেন। ঘাট থেকে জল তুলে তারকেশ্বরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যাচ্ছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen