মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে ১ কোটি কর্মসংস্থান হয়েছেঃ তৃণমূল
কর্মভূমি প্রকল্পের মাধ্যমে এক অভূতপূর্ব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় চাকরি দেওয়ার জন্য।

বিগত ১০ বছরে রাজ্যে যে বিপুল কর্মসংস্থান হয়েছে, আজ তৃণমূল ভবনে (Trinamool Bhavan) তার খতিয়ান তুলে ধরেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। সারা দেশে যেখানে বেকারত্বের হার বেড়ে হয়েছে ২৪ শতাংশ। সেখানে বাংলাই একমাত্র রাজ্য যেখানে বেকারত্বের হার কমেছে ৪০ শতাংশ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ১০ বছর শাসনে বাংলায় ১ কোটি কর্মসংস্থান হয়েছে। ২০১০ সালের তুলনায় শিক্ষা, খেলাধুলা, শিল্প ও সংস্কৃতির জন্য বাজেট প্রায় তিনগুন বেড়ে ৩৭ হাজার কোটি টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে।
সিলিকন ভ্যালিতে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি নিয়ে তিনি বলেন, ১০ বছরে এখানে কর্মসংস্থান ১৩৩ শতাংশ বরে হয়েছে ২.১০ লক্ষ। যেখানে ২০১০ পর্যন্ত আইটি কোম্পানির সংখ্যা ছিল ৫০০, তা বর্তমানে বেড়ে হয়েছে ১৫০০ এর বেশি। টিসিএস, সিটিএস, উইপ্রো, আইবিএম এসেছে। ২০টি নতুন সংস্থা এখানে বিনিয়গের জন্য আবেদন জানিয়েছে। এতে বিনিয়োগ হবে ৩০০০ কোটি ও কর্মসংস্থান হবে ৯০০০ জনের।
তিনি আরও বলেন, টায়ার ২ ও ৩ শহরে ১৮টি আইটি পার্কের ৮০ শতাংশ ইতিমধ্যেই ভর্তি হয়ে গেছে। ১০ বছরে তথ্য প্রযুক্তি রপ্তানি বেড়েছে ১৭৫ শতাংশ। টিসিএসে এই মুহূর্তে কাজ করেন ৪৪ হাজার জন। নতুন ক্যাম্প হলে কর্মীর সংখ্যা বেড়ে হবে ৬১ হাজার। অ্যামাজন লজিস্টিক হাবে কাজ পাবে ২০ হাজার জন। সিটিএসে কাজ পাবেন ২০ হাজার জন। আইবিএমে কর্মসংস্থান হবে ১৫ হাজারের এবং উইপ্রোতে ১০ হাজার জনের।
অন্যান্য ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাজপুরের যে গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরি হবে, সেখানে ২৫ হাজার কর্মসংস্থান হবে। কর্মভূমি প্রকল্পের মাধ্যমে এক অভূতপূর্ব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় চাকরি দেওয়ার জন্য। এছাড়া কর্মসাথী প্রকল্পে ২লক্ষ যুবক যুবতীকে ২ লক্ষ টাকা ও মোটর সাইকেল দেওয়া হয়েছে। উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পে ৬ লক্ষ যুবক লাভবান হয়েছে। যুবশ্রী প্রকল্পে ১ লক্ষ বেকারের কাজ হয়েছে। কাজে যোগের আগে দেড় হাজার টাকা করে মাসিক ভাতা পেয়েছে।