খুলছে কর্মসংস্থানের দিশা! মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগেই আহমেদপুরে তৈরি হচ্ছে বিশাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক
Authored By:

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২১:২৩: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। মুখ্যমন্ত্রীর সফরেই অবশেষে ঘুরল ভাগ্য। বীরভূমের (Birbhum) আহমেদপুরে (Ahmedpur) দীর্ঘকাল ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা সুগার মিলের জমিতেই এবার মাথা তুলে দাঁড়াবে ‘সাঁইথিয়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক’। রাজ্যের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দপ্তরের এই উদ্যোগে হাজার হাজার বেকারের কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ তৈরি হতে চলেছে বলে মনে করছে জেলা প্রশাসন।
মাস কয়েক আগেই বীরভূম সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আহমেদপুরের এই বন্ধ চিনিকল চত্বর পরিদর্শন করেন।সেখানে একটি শিল্পতালুক বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক গড়ে তোলার নির্দেশও দেন। মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশ মেনেই দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে প্রশাসন। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই রাজ্যের ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্প দফতর (MSME) এই প্রকল্পের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য মোট ১২ কোটি ৫৩ লক্ষ ১৯ হাজার ৬০৫ টাকা বরাদ্দ করেছে। প্রশাসনিক ও আর্থিক অনুমোদন মেলায় পরিত্যক্ত ও ভুতুড়ে চেহারার চিনিকলটি এবার ঝা-চকচকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে রূপান্তরিত হওয়ার পথে।
শিল্পপার্ক গড়ে তোলার সমস্ত জটিলতা কাটিয়ে অর্থ বরাদ্দ হওয়ায় খুশির হাওয়া জেলাজুড়ে। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “সুগার মিলটি দীর্ঘদিন ধরে পড়ে ছিল। জমি সংক্রান্ত কিছু জটিলতা থাকলেও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক হলে তা এলাকার পক্ষে খুবই ভাল হবে। শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। বিভিন্ন শিল্প সংস্থা আসবে এবং স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হবে।”
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই বোলপুরের বিশ্ববাংলা বিদ্যালয়ে রাজ্যের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প দফতরের উদ্যোগে ‘সিনার্জি’ শিল্প সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সম্মেলনে বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ জেলার প্রায় ৮০০ জন উদ্যোগপতি অংশ নেন। আশার কথা হলো, এর মধ্যে শুধুমাত্র বীরভূম জেলাতেই ৩৭১ কোটি টাকার বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, নতুন এই ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে উদ্যোগপতিদের আকৃষ্ট করতে ঢেলে সাজানো হবে পরিকাঠামো। সংযোগকারী রাস্তা, পর্যাপ্ত আলো এবং নিরবচ্ছিন্ন পানীয় জলের সুব্যবস্থা করা হবে। আগামী দিনে এই পার্কে একাধিক ছোট ও বড় শিল্প কারখানা গড়ে উঠলে জেলার অর্থনীতি যেমন চাঙ্গা হবে, তেমনই এলাকার বহু বেকার যুবক-যুবতীর কাজের সুযোগ মিলবে বলে আশাবাদী সকলেই।