অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানের ছয়টি বিমান ধ্বংস হয়, সব তথ্য প্রকাশ্যে আনলেন ভারতের এয়ার চিফ মার্শাল
এই হামলার প্রমাণ হিসেবে ‘বিফোর-অ্যান্ড-আফটার’ স্যাটেলাইট ছবি ও পাকিস্তানি গণমাধ্যম থেকে প্রাপ্ত ভেতরের ছবি ব্যবহার করা হয়।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৪:২৮: কয়েকমাস আগেই ভারতের কাশ্মীরে পাকিস্তানি জঙ্গিরা ভয়াবহ হামলা চালায়। যাতে প্রাণ হারায় একাধিক ভারতীয় পর্যটকেরা। সেই হামলার প্রতিবাদে ভারত পাকিস্তানের মাটিতে ঢুকে মিশন ‘অপারেশন সিঁদুরে’ চালায়। ভারতের সেই রাত্রিকালীন মিশনে একাধিক পাকিস্তানি জঙ্গি ঘাঁটি গুড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনাবাহিনী। এবার ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে পাকিস্তান বায়ুসেনার বড়সড় ক্ষতির তথ্য প্রকাশ্যে এল। বেঙ্গালুরুতে ১৬তএক অনুষ্ঠানে এয়ার চিফ মার্শাল এ.পি. সিং জানান, গত ৭ মে ভারতীয় সেনাবাহিনী দ্বারা পরিচালিত অপারেশন সিঁদুর -এ পাকিস্তানের ছয়টি বিমান ধ্বংস করা হয়—এর মধ্যে পাঁচটি ছিল যুদ্ধবিমান ও একটি বড় আকারের নজরদারি বিমান (AWACS)। রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টেম এই আকাশযুদ্ধে মুখ্য ভূমিকা নেয়।
শুধু আকাশেই নয়, পাকিস্তানের মাটিতেও ভারতীয় বায়ুসেনা তীব্র আঘাত হানে।এ.পি সিং জানান, জেকবাবাদ ও ভোলারি এয়ারবেসে হামলায় একাধিক যুদ্ধবিমান—সম্ভবত মার্কিন এফ-১৬—যা তখন মেরামতের কাজে ছিল, সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে যায়। ভোলারিতে আরও একটি AWACS ধ্বংস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এয়ার চিফ মার্শাল সিং-এর মতে, এই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি পাকিস্তানকে দ্রুত যুদ্ধবিরতির পথে যেতে বাধ্য করে। তিনি বলেন, “আমরা এমন আঘাত হেনেছিলাম যে, পাকিস্তান বুঝে গিয়েছিল সংঘাত বাড়লে তাদের ক্ষতি আরও বাড়বে।”
তিনি রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভূমিকারও প্রশংসা করেন। এপি সিং বলেন “আমাদের স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল—কোনও ধরনের কড়াকড়ি ছিল না। আমরা নিজেরাই ঠিক করেছি কতটা এগোতে হবে। পূর্ণ স্বাধীনতা নিয়ে পরিকল্পনা ও অভিযান চালিয়েছি,”। তিনি আরও যোগ করেন, এই হামলার প্রমাণ হিসেবে ‘বিফোর-অ্যান্ড-আফটার’ স্যাটেলাইট ছবি ও পাকিস্তানি গণমাধ্যম থেকে প্রাপ্ত ভেতরের ছবি ব্যবহার করা হয়।
অপারেশন সিন্দূর শুধু পাকিস্তানের সামরিক ক্ষমতায় বড়সড় ধাক্কা দেয়নি, বরং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতীয় বায়ুসেনার কৌশলগত দক্ষতারও প্রমাণ রেখেছে।