Operation Sindoor ছিল দেশের আত্মনির্ভরতার পরীক্ষা, প্রাক স্বাধীনতা দিবসে জাতির উদ্দেশে বার্তা রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রপতি বলেন, “প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ‘আত্মনির্ভর’ ভারতের পরীক্ষা ছিল অপারেশন সিঁদুর। ফলাফল প্রমাণ করে দিয়েছে আমরা সঠিক পথে রয়েছি।”

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২০:৫৭: রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন। স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে উঠে এল আত্মনির্ভর ভারতের কথা। তিনি বললেন, অপারেশন সিঁদুর ছিল আত্মনির্ভরতার পরীক্ষা। এই অভিযানকে বললেন,‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মানবতার লড়াই’। দেশীয় অস্ত্র ও প্রযুক্তির সাফল্যকে তুলে ধরলেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, “প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ‘আত্মনির্ভর’ ভারতের পরীক্ষা ছিল অপারেশন সিঁদুর। ফলাফল প্রমাণ করে দিয়েছে আমরা সঠিক পথে রয়েছি।”
তিনি আরও জানান, “আমাদের দেশীয় উৎপাদন এমন এক গুরুত্বপূর্ণ স্তরে পৌঁছে গিয়েছে, যা আমাদের অনেক নিরাপত্তা-প্রয়োজনীয়তায় স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তুলেছে। স্বাধীনতার পর থেকে ভারতের প্রতিরক্ষা ইতিহাসে এগুলি এক যুগান্তকারী সাফল্য।”
রাষ্ট্রপতি জানালেন, ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত হবে উন্নত দেশ। তরুণ, নারী ও প্রান্তিক সমাজ ভবিষ্যতের পথপ্রদর্শক, এমনই বিশ্বাস তাঁর। জাতীয় শিক্ষা নীতির পরিবর্তনকে বললেন ইতিবাচক। তরুণরা এখন স্বপ্নপূরণের সঠিক পরিবেশ পাচ্ছে।
দেশের দারিদ্র্যসীমা নিয়ে তিনি উল্লেখ করেন, “সুশাসনের ফলে দারিদ্রসীমার বাইরে এসেছেন সমাজের বড় অংশের মানুষ।” সরকারের কাছে রয়েছে জনকল্যাণমুখী নানা প্রকল্প, যা গরিবদের এবং যাঁরা দারিদ্রসীমার বাইরে এসেও বিপদগ্রস্ত, তাঁদের জন্য সহায়ক।
তিনি বললেন, সুশাসনের ফলে বহু মানুষ দারিদ্রসীমার বাইরে এসেছেন। সরকার চালাচ্ছে জনকল্যাণমূলক প্রকল্প। লক্ষ্য, গরিবরা যেন ফের দারিদ্রসীমার নিচে না চলে যান।
রাষ্ট্রপতি ভবিষ্যদ্বাণী করেন, ২০৪৭ সালের মধ্যে দেশ উন্নত অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে। তিনি বলেন,“আমি বিশ্বাস করি, আমাদের সমাজের তিনটি স্তরই ভবিষ্যতে পথ দেখাবে- তরুণ, মহিলা ও দীর্ঘদিন প্রান্তিক স্তরে পড়ে থাকা অংশটি।”এছাড়াও তিনি বলেন, “আমাদের তরুণ প্রজন্ম অবশেষে নিজেদের স্বপ্ন সত্যি করার সঠিক পরিবেশ পেয়েছে। জাতীয় শিক্ষা নীতি বহু পরিবর্তনের সাক্ষী হয়েছে।”
অপারেশন সিঁদুরে বীরত্বের জন্য পুরস্কৃত ১৬ বিএসএফ জওয়ান। তাঁরা শত্রু দেশের নজরদারি ক্যামেরা ধ্বংস করেন। রুখে দেন ড্রোন হামলা। ভারত-পাক সীমান্তে ছিল অতিরিক্ত সতর্কতা। এবার তাঁদের অসমসাহসিকতার জন্য দেওয়া হল সম্মান। মোট ১,০৯০ পদক ঘোষণা করা হয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য বাহিনীর জন্য।