প্রশ্নোত্তর পর্ব বাতিল নিয়ে শুরুতেই সরব হলেন বিরোধীরা
সরকার পক্ষের অবশ্য বক্তব্য, মানুষ বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করে নির্বাচিত করেছে মোদি সরকারকে। এই সঙ্কটের সময় সংসদের অধিবেশন যে হচ্ছে এটাই প্রমাণ সরকার দায়বদ্ধ।

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আজ শুরু হল সংসদের বাদল অধিবেশন। করোনা আবহে নানা নিয়ম, বিধির মধ্যে এক অন্য রূপ গণতন্ত্রের এই মন্দিরের। কিন্তু অধিবেশন শুরু হওয়ার সাথে সাথেই উত্তপ্ত হল সংসদ।
লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী বলেন, সরকার হঠকারিতার পরিচয় দিচ্ছে। বিরোধীদের অধিকার খর্ব করা হচ্ছে। কংগ্রেসেরই সাংসদ মনীশ তিওয়ারিও এক সুরে বলেন, পুরো সদন ঐক্যমত্য না হলে প্রশ্নোত্তর পর্ব বন্ধ করা যায় না।
তৃণমূলের মুখ্য সচেতক বলেন, বিরোধীদের অধিকার সরকারকে প্রশ্ন করা। এই অধিকার যেন কেড়ে না নেওয়া হয়। সরকার পক্ষের অবশ্য বক্তব্য, মানুষ বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করে নির্বাচিত করেছে মোদি সরকারকে। এই সঙ্কটের সময় সংসদের অধিবেশন যে হচ্ছে এটাই প্রমাণ সরকার দায়বদ্ধ।
মিম এর সাংসদ ওয়েইসি বলেন, আইনসভা এবং সরকারের মধ্যে যে বিভাজন তা মুছে ফেলতে চাইছে মোদি সরকার।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বলেন, করোনা কালে সময়ের অভাবে প্রশ্নোত্তর পর্ব হবে না, কিন্তু সাংসদরা লিখিত প্রশ্ন জমা দিতে পারবেন। উত্তরে সন্তুষ্ট না হলে, তারা আধ ঘন্টার জিরো আওয়ারে জবাবদিহি করতে পারবেন।
এই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট না হয়ে অধীরবাবু এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সরকার বিরোধীদের সম্মতি নেয়নি, তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে মাত্র।
প্রশ্নোত্তর পর্ব নিয়ে উত্তাল হয় রাজ্যসভাও। সরকারকে আক্রমণ করে তৃণমূলের দলনেতা বলেন, একমাত্র প্রশ্নোত্তর পর্বেই বিরোধীরা সরকারকে প্রশ্ন করতে পারে। ১৯৬২ সালে চীনের সাথে যুদ্ধের সময় ছাড়া প্রশ্নোত্তর পর্ব কোনোদিন বাতিল হয়নি।
রাজ্যসভায় বিরোধী নেতা গুলাম নবী আজাদ বলেন, গণতন্ত্রে সরকারকে প্রশ্ন করার অধিকার আছে বিরোধীদের। সেটা কেড়ে নেওয়া যায় না।