SIR: টার্গেট কেবল বিরোধী ভোট? বিহারের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হতেই প্রশ্ন বিরোধীদের
SIR-র পর বিহারে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে কমিশন। বিরোধীদের অভিযোগ, ভোটারদের নাম বাদ পড়ার নির্দিষ্ট কৌশল রয়েছে

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ১১:২০: SIR-র পর বিহারে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে কমিশন। বিরোধীদের অভিযোগ, ভোটারদের নাম বাদ পড়ার নির্দিষ্ট কৌশল রয়েছে। দেখা যাচ্ছে, বিরোধী দুর্গ বলে পরিচিত জেলাগুলি থেকেই কেবল ভোটারদের নাম বাদ পড়েছে। বাদ যাওয়া ভোটারদের সিংহভাগই মহিলা ও সংখ্যালঘু। SIR-র বাদ যাওয়া ভোটারদের ৫৫ শতাংশই মহিলা। বিহারের যে ১০টি জেলায় সবথেকে বেশি সংখ্যক নাম বাদ পড়েছে, তার পাঁচটিই সংখ্যালঘু মুসলমান প্রভাবিত। বলার অপেক্ষা রাখে না ওই জেলাগুলিতে বিজেপির চেয়ে আরজেডি ও কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্ক শক্তিশালী। তাই কি বাদ? প্রশ্ন উঠছে।
বিহারের ২৪৩ আসনের মধ্যে ৪৩টিতে বাদ পড়া ভোটারদের ৬০ শতাংশ বা তার বেশিই কিন্তু মহিলা। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি প্রকাশিত ভোটার তালিকা এবং ১ আগস্টের খসড়া তালিকা মিলিয়ে এই তথ্য উঠে আসছে। খসড়া তালিকা অনুযায়ী, ৩৮ জেলার মধ্যে যে ১০টিতে ভোটার বাদ পড়ার হার সবচেয়ে বেশি। তার পাঁচটিই মুসলমান প্রভাবিত—পূর্ণিয়া, কিষাণগঞ্জ, মধুবনী, ভাগলপুর, সীতামারি। জেলাগুলিতে বাদ পড়ার হার ৯ থেকে ১২ শতাংশ। সারন, ভোজপুর, সিওয়ানের মতো জেলা বিরোধীদের গড় হিসেবে পরিচিত। সেখানে যে হারে নাম বাদ পড়েছে, তাতে আরজেডির ভোটব্যাঙ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেই আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। পাটনা, মগধ অঞ্চলের ঔরঙ্গাবাদের মতো বিরোধী গড়গুলিতেও একই আশঙ্কা। এই এলাকায় ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে দাপট দেখিয়েছিল আরজেডি জোট। সমস্তিপুর, বৈশালী, মুজফফরপুরেও খসড়া তালিকায় নাম বাদের হার রাজ্য গড়ের তুলনায় বেশি। গত লোকসভা ভোটে এই সব এলাকায় বিজেপির জয়ের মার্জিন কিন্তু ছিল নগণ্য।
বিরোধীদের দাবি মেনে বাদ যাওয়া ৬৫ লক্ষ ভোটারের নামের তালিকা নির্বাচন কমিশন ১২টি দলের হাতে তুলে দিয়েছে। তাতেও সন্তুষ্ট নয় বিহারের রাজনৈতিক দলগুলো। যে জেলাগুলিতে শাসক-বিরোধী জোর টক্করের সম্ভাবনা রয়েছে, সেখানেও উল্লেখযোগ্য হারে নাম বাদ গিয়েছে। বিরোধীদের প্রশ্ন, বিজেপি বিরোধী জনভিত্তিকে নিশানা করাটাই কি SIR-র আদত উদ্দেশ?
কমিশন নীরব। তারা জানাচ্ছে, চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর প্রত্যেক বৈধ ভোটারকে নতুন এপিক দেওয়া হবে। যাঁদের নাম খসড়া তালিকায় রয়েছে বা নতুন করে যাঁরা নাম তুলতে চাইছেন, তাঁদের প্রত্যেককে ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বুথ লেভেল অফিসারের কাছে সাম্প্রতিক ছবি জমা দিতে বলা হচ্ছে। তা দিয়েই তৈরি হবে নতুন এপিক।