মমতার চোট নিয়ে বিরোধীদের কদর্য মন্তব্য, নিন্দা দেশজুড়ে

মমতার আরোগ্য কামনা করে একের পর এক বিবৃতিও দিয়েছেন।

March 12, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

পাশে থাকার বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) কাছে আসছে বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগে থেকেই। সিপিএম(CPIM) বা কংগ্রেসের(Congress) বন্ধু দলগুলিই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সমর্থনের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন তৃণমূল(TMC) সুপ্রিমোর কাছে।  এমনকী যে সব রাজ্যে কংগ্রেসের জোট সরকার চলছে, সেই জোটসঙ্গীরাও পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূলের। আর বুধবার নন্দীগ্রামে (Nandigram) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনা জাতীয় রাজনীতিকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেল। দিনভর সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ইস্যুই ট্রেন্ডিং। রাজনৈতিক দলগুলির সদর দপ্তরেও বৃহস্পতিবার একটা‌ই আলোচনা ও চর্চা—তৃণমূল সুপ্রিমোর আঘাত। আর তাতেই সবথেকে বড় অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্যের বিরোধীরা। কারণ, বঙ্গ বিজেপি ও প্রদেশ কংগ্রেস যখন কদর্য মন্তব্য করে এই ঘটনাকে ‘নাটক’ আখ্যা দিতে ব্যস্ত, তখন তাদেরই অন্য রাজ্যের নেতারা বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। মমতার আরোগ্য কামনা করে একের পর এক বিবৃতিও দিয়েছেন।


কংগ্রেসের জাতীয় স্তরের নেতা মণীশ তিওয়ারি থেকে পৃথ্বীরাজ চৌহান, আনন্দ শর্মা থেকে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং একই সুরে তৃণমূল নেত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছেন। আবার বিজেপি এমপি সুব্রহ্মণ্যম স্বামী এদিন সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দপ্তরে ফোন করে মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্য সম্পর্কে খবর নিয়েছেন। পরে মমতার সুস্থতা কামনা করে বিবৃতিও দিয়েছেন। তামিলনাড়ুতে কংগ্রেস যার সঙ্গে জোট করে নির্বাচনে লড়াই করছে, সেই ডিএমকে নেতা স্ট্যা঩লিনও জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আক্রমণের ঘটনা অত্যন্ত লজ্জাজনক। দোষীদের অবিলম্বে শাস্তি দিতে হবে। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন।

আরজেডি(RJD) সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ পুত্র তেজস্বী যাদব(Tejashwi Yadav) সরাসরি বলেছেন, ভোট ঘোষণার পর আইন শৃঙ্খলা, পুলিস-প্রশাসন তো নির্বাচন কমিশনের অধীনে। তাহলে কমিশন একজন মুখ্যমন্ত্রীকে নিরাপত্তা দিতে পারল না কেন? অখিলেশ যাদব দাবি করেছেন, এই ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। অবিলম্বে তদন্ত দরকার। বস্তুত দেশের পাঁচ রাজ্যজুড়ে ভোটের প্রক্রিয়া শুরু হলেও তাবৎ জাতীয় রাজনীতি ও মিডিয়ার কাছে পশ্চিমবঙ্গই পাখির চোখ। বুধবার রাত থেকে লাগাতার এই ‌ইস্যুতেই চর্চা তুঙ্গে। নির্বাচন কমিশনেও ছিল জোরদার তৎপরতা। কারণ, গোটা ঘটনায় প্রশ্নের মুখে তারা। মু্খ্যমন্ত্রীকে কী ধরনের নিরাপত্তা দেওয়া দরকার, সেটা ভোটের সময় কমিশনই স্থির করতে পারে। সেই কারণেই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে এই ঘটনায় যথেষ্ট অস্বস্তিতে কমিশনও।  

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen