লকডাউনের জেরে কর্মহীন, গাছ কাটার বরাত পেয়ে খুশি কাঠুরেরা

May 27, 2020 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

এ যেন উলটপুরাণ। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবের মাঝেও নতুন করে বাঁচার পথ দেখছে কাঠুরেরা। লকডাউনে কাজ হারিয়ে যখন প্রায় দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছিল এইসব মানুষের, তখন আচমকা ঘূর্ণিঝড়ে পড়ে যাওয়া গাছই তাঁদের পরিবারে স্বস্তি এনে দিল। আর ভয়াবহ এই পরিস্থিতির মাঝেও দীর্ঘদিন পর অর্থের মুখ দেখায় খুশি এই কাঠুরেরা।

গত বুধবার ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে হাওড়া গ্রামীণ জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই এলাকায় ছোট-বড় মিলিয়ে কয়েক হাজার গাছ উপড়ে গিয়েছে।পরের দিন সকাল হতে না হতেই ডাক পড়ে কাঠুরেদের। তবে শুধু কাঠুরে নয়, লকডাউনের এই পর্বে উপার্জনের আশায় অনেকেই হাত লাগান গাছ কাটার কাজে। এদিকে,হঠাৎ কাজ পাওয়ায় খুশি কাঠুরেরা।

তাঁরা বলেন, গাছের মাপ অনুযায়ী মজুরি নির্ধারিত হয়। অনেকে শুধু কাটার চুক্তি করে, আবার অনেকেকাটার পরে গাছ কিনে নেওয়ার চুক্তিও করে। একটা বড় গাছ তিন-চারজনে মিলে কাটলে জনপ্রতি ৪০০/৫০০ টাকা উপায় হয়। সেক্ষেত্রে দিনে একটা গাছই কাটা সম্ভব। গাছ কাটার পর তা কিনে নিলে আয়ের অংশটা একটু বেশি হয়। তবে এই সময় চাহিদা বেশি থাকায় দিনরাত এককরে কাজ করায় পারিশ্রমিক অনেকটাই বেড়েছে।

অধিকাংশ কাঠুরের মতে, ঝড়ে যেভাবে গাছ পড়েছে, তাতে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে এটা যেমন ঠিক, তেমনই এইসব গাছ আবার আমাদের মতো অনেক পরিবারের মুখে হাসি ফোটাল। অনেকের অভিযোগ, ঘূর্ণিঝড়ের মওকা বুঝে কাঠুরেরা গাছ কাটার রেট বাড়িয়েছে। ঝড়ের আগে যে গাছ কাটতে তাঁরা ৫০০/৭০০ টাকা নিতেন, ঝড়ের পর সেটাই কাটতে ১৩০০/১৫০০ টাকা নিচ্ছেন। আর বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সাধারণ মানুষ সেই টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen